Image description

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ হামলা করেছে তা ফ্যাসিস্টবিরোধী বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির অনৈক্যের ফলেই হয়েছে।

 

বুধবার বিকালে শহরের কানাইখালিতে জুলাই শহীদদের স্মরণে নাটোর জেলা ছাত্রদল আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুলু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি (ছাত্র-জনতা) ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের বিদায় করেছে। সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। এই অনৈক্যের সুযোগে গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ হামলার সাহস দেখিয়েছে।

দুলু বলেন, বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির অনৈক্যের কারণে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নিষ্কলঙ্ক নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবাবের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাদের পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে কথা বলা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এতে করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল তা নষ্ট হচ্ছে। যে বন্ধন ছিল তাতে ফাটল ধরছে। এতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সুবিধা নিচ্ছে।

দুলু বলেন, তাই নিজেদের সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে সকলকে আবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অবিলম্বে এনসিপির নেতাকর্মীদের উপরে হামলাকারী সকলকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী দিনে যেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ এমন হামলার সাহস আর দেখাতে না পারে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- দুলুর সহধর্মিণী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন ও সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম ও শেখ এমদাদুল হক আল মামুন প্রমুখ।