
লুবনা চেয়েছিলেন, যেন তাঁর বাবা-মা, বোন এবং স্বামীই হয় এই যুদ্ধে শেষ প্রাণ হারানো মানুষ। কিন্তু সেই প্রার্থনাও পিষে দিয়েছে বোমার শব্দ।
লুবনার বাবা ডা. মারওয়ান আল-সুলতান ছিলেন গাজার সবচেয়ে সম্মানিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একজন। তিনি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন এবং গাজা উপত্যকায় জীবিত থাকা মাত্র দুইজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের একজন ছিলেন।
গত ২ জুলাই ইসরাইলি বোমার আঘাতে একইসঙ্গে নিহত হন ডা. মারওয়ান, তাঁর স্ত্রী জিকরা, কন্যা লামিস, বোন আম্নেহ এবং জামাতা মোহাম্মদ—যিনি লুবনার স্বামী। তারা সবাই আশ্রয় নিয়েছিলেন এমন একটি এলাকায়, যেটিকে ইসরাইল আগেই “নিরাপদ এলাকা” হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারের ধ্বংস নয়, এটি গাজার চিকিৎসাব্যবস্থার হৃদয়কে লক্ষ্য করে চালানো আঘাত। চিকিৎসকদের নির্মূল করে ইসরাইল যেন নিশ্চিত করতে চাচ্ছে, গাজা আর কখনোই যেন গেনোসাইড থেকে সেরে উঠতে না পারে।
লেখক ঘাদা আগিলের ভাষায়, “ইসরাইল শুধু মানুষ মারে না, তারা ভবিষ্যতকেও মারে। একজন চিকিৎসকের মৃত্যু মানে শুধু একজন মানুষের মৃত্যু নয়, বরং অসংখ্য প্রাণ বাঁচানোর সম্ভাবনার মৃত্যু। আর এটাই ইসরাইলের লক্ষ্য।”
গাজায় এখনো যারা বেঁচে আছেন, তাদের শুধু ঘর নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই—ডাক্তারও নেই। কেউ আর শুশ্রূষা করবে না। কেউ আর হৃদস্পন্দন শুনবে না। যেন গাজার হৃদয়টাই চিরতরে থেমে যায়।