
জাতীয় পার্টির (জাপা) জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ‘বেইমানি’ করেছিলেন বলেই দল সাতবার ভেঙেছে। জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সব সময় দলের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁরা কখনোই জাতীয় পার্টির মূল স্রোতের বাইরে যাননি।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলটির নবনিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতার ধারাবাহিকতায় গত সোমবার জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের। একই সঙ্গে সেদিন তিনি শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব ঘোষণা করেন।
এই প্রেক্ষাপটে আজ নবনিযুক্ত মহাসচিবকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জি এম কাদের বর্জন করেছিলেন। তখন সরকার জি এম কাদেরকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ইচ্ছা করলে ২-৪ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারতেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে ৫টি বছর সংসদের বাইরে থেকে দেশ ও মানুষের পক্ষে কথা বলেছিলেন জি এম কাদের। জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই জি এম কাদেরের মূল শক্তি।
শামীম হায়দার বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবারও একটি সংবাদ সম্মলনে বলা হয়েছে কাউন্সিলে হেরে যাবার ভয়ে নাকি জি এম কাদের কাউন্সিল করছেন না। কাউন্সিলে কারা থাকবেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই তো থাকবেন। তৃণমূল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে জি এম কাদেরের পাশে আছেন। কাউন্সিলে জি এম কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করার মতো প্রার্থী কে?’
জাপার নতুন মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আছে। ২০২৪ সালে গণহত্যার ইতিহাস আছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনার সময়ে কোনো গণহত্যার রেকর্ড নেই। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে নিরাপদ মনে করে।’
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. সামছুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, শরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।