Image description
 

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ করেছেন জাপার একদল নেতা। এতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত তিনজন সিনিয়র নেতাসহ বিগত সময়ে বেরিয়ে যাওয়া নেতারাও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) গুলশান-২ এ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য- সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান।

উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা– সরদার শাহজাহান, ‌মো. হারুন আর রশিদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আমানত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব– মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সম্পাদক- শারমিন পারভীন লিজা, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা- মিজানুর রহমান দুলাল, আব্দুস সাত্তার, জিয়া উর রহমান বিপুল, তাসলিমা আকবর রুনা, আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, এস এম হাশেম, সিরাজুল আরিফিন মাসুম, চিসতী খায়রুল আবরার।

আমরাই স্বপদেশামীমের নিয়োগ অবৈধ

আমরা এখনও স্বপদে বহাল রয়েছি, আমাদের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বহাল রয়েছেন। ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

জিএম কাদের গতকাল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রেসিডিয়ামের সভার যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেই বৈঠককেও অস্বীকার করেছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

তিনি বলেন, প্রথমত ওই প্রেসিডিয়ামের সভায় কোরাম হয়নি। আর গঠনতন্ত্রের ২০/৩(খ) ধারায় বলা হয়েছে মহাসচিব চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে, প্রেসিডিয়ামের মিটিং আহ্বান করবেন। আলোচ্য সূচি নির্ধারণ করবেন মহাসচিব।

তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে আমরা গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করেছি। আমরা পার্টির বিরুদ্ধে কী কাজ করেছি। আমরা বিবৃতি দিয়ে বলেছি, ২০ (ক) ধারা বাতিল করতে বলেছি, হিসাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। আমাদের এসব কাজ কোনভাবেই দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।

মাহমুদ বলেন, ‘আমরা প্রায় সকলেই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দলের সঙ্গে রয়েছি। আমিও এই পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলাম, আমাকে যখন ঘোষণা করা হয়, তখন পার্টির চেয়ারম্যান আমার পাশে বসে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর জিএম কাদের জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছেন, একজন (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) মৃত্যু পথযাত্রী ছিলেন।’

‘ঠিক যেভাবে মিলিটারি ক্যু হয় সেভাবে করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন পৃথক একটি অংশের নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে জাতীয় পার্টি আগামী দিনে অনেক ভালো করতে পারবে। জিএম কাদের একে একে সবাইকে বের করে দিয়েছেন। আমরা সবাই চাই একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি।

আমি এমন কী অপরাধ করলাম: চুন্নু

আমি এমন কী অপরাধ করলাম, যার জন্য পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ পর্যন্ত অব্যাহতি দিলেন! জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের প্রতি এমন প্রশ্ন করেছেন সদ্য বহিষ্কৃত মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেছেন, আমাকে পার্টির মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কোনও আপত্তি নেই। আমার একটাই দুঃখ— ৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ১৯৮৭ সালে উপমন্ত্রী হয়েছি, তখন থেকে পার্টির সঙ্গে আছি। আমি যখন মন্ত্রী তখন জিএম কাদের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজার। তিনি ১৯৯৬ সালে পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তার কোনও যোগ্যতা নেই, তার একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই। তারপরও তাকে নেতা মেনে রাজনীতি করেছি। ২৮ জন নেতাকে প্রমোশন দিয়েছেন, আমি জানি না।