
আমরা কোন কর্পোরেট মিডিয়ার আশীর্বাদ নিয়ে রাজনীতি করি না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন,
এক।
আমরা কোন কর্পোরেট মিডিয়ার আশীর্বাদ নিয়ে রাজনীতি করি না। রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার সম্পর্ক হওয়া উচিত স্বচ্ছ, পেশাদার এবং নীতিভিত্তিক। কিছু দল মিডিয়ার সঙ্গে সুবিধাভোগী সম্পর্ক গড়ে তুলেছ।
আমরা কোনও মিডিয়ার সঙ্গে ব্যাকডোর আলোচনায় যাইনি। যাবো না। কোনও আড়ালের সমঝোতাও করবো না।
দুই।
সম্প্রতি কিছু সংগঠন বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া অপারেশনের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। এই সংগঠনগুলোর একটি বড় অংশ অতীতে ফ্যাসিবাদী শাসনের সুবিধাভোগী ছিল। তারা সেই শাসনের সময়ে হত্যা, গুম, খুন, ব্যাংক লুট দেখেও নিরব থেকেছে। এমনকি এসবের পক্ষও নিয়েছে।
তারা এখন আবারো তেমন একটা ব্যবস্থা কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা এটা হতে দেবো না। কোন ভাবেই আমাদেরকে চুপ করানো যাবে না।
তিন।
মিডিয়া জনগণের হয়ে কথা বলবে, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু কিছু মিডিয়া হাউজ আজ এমন ওলিগার্ক দের হয়ে কাজ করছে যাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপরাধ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা মিডিয়াকে ব্যবহার করছে এইসব অপরাধের shield হিসেবে। আর ক্ষমতায় কে থাকবে সেটা পেছন থেকে নির্ধারণ করতে। এরা কুৎসিত মিথ্যা দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়। দুর্নীতিবাজদের ফেরেশতা বানায়। সৎ রাজনীতিবিদের হেনস্তা করে। এই মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সিনিয়র সাংবাদিকেরা পা চাঁটতে চাঁটতে সাংবাদিকতা ভুলে গেছে। সত্য প্রকাশের পরিবর্তে হয়ে গেছে মিথ্যার আঁধার।
চার।
আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই স্বাধীনতা যেন সত্য এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হয়। আমরা মিডিয়ার কাছে কোনো দলীয় আনুগত্য চাই না।
এই দেশে বহু সৎ, সাহসী, পেশাদার সাংবাদিক আছেন। তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি। তাদের এই পেশাকে রক্ষা করতে হলে। যে সিন্ডিকেট সাংবাদিকতার নামে এই ডার্ক অপারেশন চালায়, তাদের এই অপকর্মের শেষ টানতে হবে।
আমরা চাই দায়িত্বশীল, ন্যায়ভিত্তিক, তথ্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। যে সাংবাদিকতা জনগণের, গণতন্ত্রের, এবং ভবিষ্যতের পক্ষে দাঁড়ায়। এই দায় সব সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল, অনলাইন পোর্টালেরই আছে।
অপেশাদার বা পক্ষপাতদুষ্ট কিছু গণমাধ্যমকে বলব—আমরা আপনাদের কোনো সুবিধা বা ফেভার চাই না, শুধু ন্যায্যতা চাই। আমাদের প্রতি ইনসাফ করুন, সেটাই যথেষ্ট।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আজ কালো টাকার পাহাড় গড়ে তৈরি হওয়া দুর্নীতিবাজ অলিগার্করা অনেক তরুণ সাংবাদিককে দাসে পরিণত করেছে। আমরা চাই আপনারা সেই শৃঙ্খল ভেঙে দিন, আগুন জ্বালান স্বাধীন সাংবাদিকতার মশালে।
আপনাদের স্বাধীনতায় যে কোনো অন্যায় আঘাতের বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাই।
সর্বশেষ:
Hasina must be regretting for messing with this wrong generation. Let this be a warning: never mess with a generation that knows its power.