Image description

বরিশালে নুরুল হক নুর ও মো. রাশেদ খানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণ অধিকার পরিষদ।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, পানির টাঙ্কি ঘুরে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।

মশাল মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, এখনো কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না? কারা জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরকে প্রটেকশন দিচ্ছে? জিএম কাদের কি হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেছেন, আর ভারতের এজেন্ট জিএম কাদের বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি বলেন, জনগণ স্লোগান শুরু করেছে, ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে।’ মানে জাপাকে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বরিশালে আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে মামলা গ্রহণের নির্দেশদাতা ম্যাজিস্ট্রেটকেও প্রত্যাহার করতে হবে।

জাপা ও আপার দোসর না হলে ২৪ এর বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এই মামলা নেওয়ার কথা তিনি বলতে পারতেন না। 

তিনি আরো বলেন, আমি ইতিমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবহিত করেছি। হাসিনার আমলে আমরা মামলা খেয়েছি। এখনো যদি মামলা খেতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজ নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিল।

 
কিন্তু আমি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাদের এই নির্দেশনা দিতে পারি না। কিন্তু পদক্ষেপ না নিলে কত সময় তাদেরকে থামিয়ে রাখব? সরকারকে বলব, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিন, তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। অন্যথায় জিএম কাদেরের অবস্থা নুরুল হুদার মতো হলে, তার দায় জনগণকে দিতে পারবেন না। সুতরাং জনগণ আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ, জাপা ও ১৪ দলের কালপ্রিটদের ধরুন।

গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের লুটপাট, গুম-খুনসহ সব অপকর্মের সঙ্গে জাতীয় পার্টি জড়িত। তাই আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির নেতাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। 

গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস প্রমুখ।