Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফাত আরেফিনকে ২৮ জুন রাতে বরগুনায় এক তরুণীসহ আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই মাঝে, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের অনুসন্ধানে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে।

জানা যায়, ঘটনাটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা নয় বরং প্রায় এক বছর আগের। ভিডিওতে যাকে ‘তরুণী’ বলা হচ্ছিলো, তিনি আসলে রিফাত আরেফিনের বৈবাহিক স্ত্রী ফারজানা (তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কাগজপত্র, এনআইডি ও প্রাসঙ্গিক প্রমাণসমূহ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে)। পারিবারিক কলহের জেরে ফারজানা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রিফাত তাকে আনতে গেলে পথে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

ছাত্রদল নেতা রিফাত ও তার স্ত্রী ফারজানা

এসময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ভুল বুঝে ঘটনাটিকে প্রেমিক-প্রেমিকার ঘটনা মনে করে ভিডিও ধারণ করে এবং পরবর্তীতে সেটিকে ব্যবহার করে অর্থ আদায়ের দাবিও তোলে বলে জানা গেছে। বিষয়টি পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসিত হয় এবং তাদের সম্মানের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ভিডিওটি সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং সম্প্রতি ‘জবিয়ানস’ নামে এক ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি আপলোড করলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমালোচনার শুরু হয়। এতে পুরনো, পারিবারিক এবং মীমাংসিত ঘটনা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রিফাত আরেফিন আমাদের সংগঠনের একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তার অবদানের কারণেই কমিটিতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে তার এবং তার বৈবাহিক স্ত্রীর মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি পারিবারিক ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, যা স্থানীয়ভাবে তখনই সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু এতদিন পর সেই পুরনো ঘটনার ভিডিও একটি ফেসবুক পেজ থেকে ছড়িয়ে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানো হচ্ছে। এটা স্পষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি টিনের ঘরের ভেতর অন্ধকারে রিফাত ও এক তরুণীকে আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভিডিওতে রিফাত আরেফিনকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়।