
ফের আলোচনায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় থাকা জাপা’র অন্দরমহলে চলছে নানা তৎপরতা। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্ব চালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দলের একটি অংশ বিকল্প নেতৃত্ব সামনে আনার চেষ্টা করছেন। এতে দলটিতে ফের বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলীয় চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছে একটি পক্ষ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগীর তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে আছে নানা আলোচনা। দলটির নেতারা মামলা ও বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন এমন আলোচনাও আছে। এই অবস্থায় দলের ভেতরের বিভক্তি নেতাকর্মীদের নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে। বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় পার্টির অবস্থা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শোচনীয় অবস্থায় পড়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা হামলা ও মবের শিকার হয়েছে। মামলাও হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। দলটির এমন অবস্থার পেছনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও নিজেদের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়াকে বড় কারণ মনে করছেন নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ’২৪-এর নির্বাচনে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করেই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দল এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৯ সালের ১৪ই জুলাই।
দলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমরা কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের পরিবর্তন আনতে চাই। নির্বাচন কমিশনে কাউন্সিলের তারিখ জানানো হয়েছে। এটা বাতিল উনি করতে পারেন না। জিএম কাদের যদি কারও সঙ্গে আলোচনা না করে কাউন্সিল বন্ধ করেন তাহলে তো হবে না। স্থগিত করতে হলেও তো আলোচনা করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। যারা আসতে চান, তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা চাই পার্টিকে সুসংগঠিত করতে। গণতান্ত্রিক ধারাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই।
রওশন এরশাদপন্থি দলের অন্য অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, সম্মেলনের দাওয়াত পেয়েছি। আমাদের কিছু কিছু লোক এখানে যুক্ত হয়েছেন। কারণ আমরা ঐক্য চাই। কিন্তু জিএম কাদের যদি সম্মেলন স্থগিত করেন তবে ঐক্যটাই তো হবে না।
জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার চেয়ারম্যান ও মহাসচিব প্রার্থী হবেন। আমি জিএম কাদেরের প্যানেলে মহাসচিবের পদে দাঁড়াবো। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলন হবে। সেটা না হলে কাকরাইলে হবে। কিন্তু প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করেই জিএম কাদের তা বাতিল করেছেন। তিনি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো। বক্তব্য জানতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।