Image description

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, জিয়া পরিবার এই দেশের সম্ভাবনা ও সংকটে হাজির হয় আলোক হাতে অন্ধকার তাড়াতে। গণতন্ত্রের পথে যখন মেঘের ছায়া পড়ে তখন জিয়া পরিবারই বৃষ্টি হয়ে আসে সব কালোমেঘ সরিয়ে উজ্জ্বল প্রভাকরের দীপ্তি নিয়ে।

আজ বুধবার (১৩ জুন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

পাঠকদের জন্য নাছির উদ্দীন নাছিরের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল: 
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠককে আমরা স্বাগত জানাই। জিয়া পরিবার এই দেশের সম্ভাবনা ও সংকটে হাজির হয় আলোক হাতে অন্ধকার তাড়াতে। গণতন্ত্রের পথে যখন মেঘের ছায়া পড়ে তখন জিয়া পরিবারই বৃষ্টি হয়ে আসে সব কালোমেঘ সরিয়ে উজ্জ্বল প্রভাকরের দীপ্তি নিয়ে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হৃৎপিণ্ডে ধারণ করা প্রধান স্লোগান হচ্ছে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। সেই প্রত্যয় থেকেই সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের দুই প্রজন্মের প্রধান দুই ব্যক্তিত্ব মিলিত হন বাংলাদেশের আগামীর সম্ভাবনা চিহ্নিত করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নির্ধারণ করতে। আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সংকট নিরসনের সভ্য গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন ডক্টর ইউনুস এবং জনাব তারেক রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়া পরিবার সবসময়ই উন্নত এবং সভ্য দেশের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে এসেছে। ডক্টর ইউনুসের সাথে জনাব তারেক রহমানের বৈঠক এই ঐতিহ্যেরই পরম্পরা। 

আমরা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার গ্রামীণ ব্যাংকের বিকাশে সহযোগিতা করেছেন এবং নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতেও কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করেছেন। 

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং জনাব তারেক রহমানের মধ্যে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময়,পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সৌজন্য দেখে আমরা চূড়ান্তভাবে আশাবাদী, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ এই ঐতিহাসিক বৈঠকের পাটাতন ধরে আপন গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক ও শহিদ জিয়ার উত্তরাধিকারের হাতেই নিরাপদ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।