Image description

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা জনবহুল ও ব্যস্ততম শহর। যানজট, রিকশার জটলা আর মানুষের অবিরাম ছুটে চলা যার নিত্যদিনের চিত্র। যানজট বা ঘনবসতির নগরী নামের প্রাসঙ্গিকতার পাশাপাশি রেকর্ডসংখ্যক মসজিদ থাকার কারণে ঢাকাকে মসজিদের নগরীও বলা হয়। কিন্তু এ নগরীকে আরেকটি নামে পরিচিত করানো যেতে পারে, তা হলো ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর’। দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশের আয়তন অনুযায়ী বিবেচনা করলে রাজধানী ঢাকায় রয়েছে রেকর্ড সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে ঢাকাকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর’ বললেও হয়তো ভুল হবে না।

আয়তনে বিশ্বের ১০টি সর্ববৃহৎ দেশের রাজধানীতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ঢাকার সমতূল্য আর কোনও শহর পাওয়া যায়নি। ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি ১৭১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর অর্ধেকেরও বেশি ৩০৬ দশমিক ৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের শহর ঢাকায়। এখানে রয়েছে দেশের প্রথম ও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা শুধু দেশের নয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৭১টি। এর মধ্যে সরকারি ৫৫ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৬টি। রাজধানী ঢাকায়ই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৯টি। অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকায় মোট ৯টি সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

এসব প্রতিষ্ঠান ঢাকাকে দেশের শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বিশ্বে নজিরবিহীন। যদিও শিক্ষাবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কারণে ঢাকায় এত উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলো মানের চেয়ে পণ্য হিসেবে বেশি গুরুত্ব পায়। মানসম্মত জনবলও নেই। এ অবস্থায় শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তারা।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৭১টি। এর মধ্যে সরকারি ৫৫ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৬টি। রাজধানী ঢাকায়ই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৯টি। অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকায় মোট ৯টি সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

সেগুলো হল- ঢাকা, বাংলাদেশ প্রকৌশল, জগন্নাথ, শেরেবাংলা কৃষি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস। বেসরকারি ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ অন্যতম। 

এর বাইরে রাজধানী ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজের মতো দুটি মেডিকেল কলেজ ছাড়াও ৩৫টিরও অধিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজ রয়েছে (উইকিপিডিয়া)। সবমিলিয়ে ঢাকায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৬টিরও বেশি। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ১০টি দেশ যথাক্রমে রাশিয়া, কানাডা, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আর্জেন্টিনা, কাজাখস্তান ও আলজেরিয়া। এ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪তম। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা নিয়ে EduRank-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের তালিকায় মস্কোতে ৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে StudyAbroadAide–এর তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ৫৯টি (৪৬টি সরকারি ও ১৩টি বেসরকারি) বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

UniRank-এর এক তালিকায় কানাডার ১০১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দেখা যায়। তবে অনলাইনে দেশটির রাজধানী অটাওয়াতে ২০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু সারাদেশ (কানাডা) এবং অটোয়া শহরে মোট কতটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। 

আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ১০টি দেশ যথাক্রমে রাশিয়া, কানাডা, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আর্জেন্টিনা, কাজাখস্তান ও আলজেরিয়া। এ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪তম। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা নিয়ে EduRank-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের তালিকায় মস্কোতে ৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে StudyAbroadAide–এর তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ৫৯টি (৪৬টি সরকারি ও ১৩টি বেসরকারি) বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, চীনের রাজধানী বেইজিং শহরে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৯০টি। একই সূত্রানুসারে, ‍যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি শহরে ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়। ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। কানাডার রাজধানী ক্যানভেরায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫টি এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টির তথ্য পাওয়া যায়। 

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ৩৮টি ও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ইউনিপেইজের তথ্যানুযায়ী ১৯টি এবং আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।  

এসব পরিসংখ্যাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আয়তনে বৃহত্তম বিশ্বের দুই দেশ রাশিয়ার মস্কো ও চীনের বেইজিং শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে বেশি। বাকি ৮ দেশের রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ঢাকার তুলনায় কম। যদিও এসব দেশ বাংলাদেশের তুলনায় বহুগুণে বৃহৎ। আয়তনের ‍দিক থেকে বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশের রাজধানীতে এতবেশি বিশ্ববিদ্যালয় থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর বলে মত অনেকের। 

মস্কো ও বেইজিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ঢাকার তুলনায় বেশি থাকলেও দেশের আয়তন হিসেবে বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে এ দুই দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। কারণ রাশিয়া বাংলাদেশের ১১৫ গুণ এবং চীন বাংলাদেশের চেয়ে ৬৫ গুণ বড়।

শহরের জনসংখ্যার বিচারেও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের একটি তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি সায়েন্স ফোকাস সাময়িকী। সেগুলো হল- জাপানের টোকিও (৩৭.৪ মিলিয়ন মানুষ); ভারতের দিল্লি (২৯.৩ মিলিয়ন মানুষ); চীনের শাংহাই (২৬.৩ মিলিয়ন মানুষ); ব্রাজিলের সাও পাওলো (২১.৮ মিলিয়ন মানুষ); মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি (২১.৬ মিলিয়ন মানুষ); মিশরের কায়রো (২০.৪ মিলিয়ন মানুষ); বাংলাদেশের ঢাকা (২০.২ মিলিয়ন মানুষ); ভারতের মুম্বাই (২০.১ মিলিয়ন মানুষ); চীনের বেইজিং (১৯.৪ মিলিয়ন মানুষ) এবং জাপানের ওসাকা (১৯.২ মিলিয়ন মানুষ)।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে রয়েছে ১৪৮টি জাতীয়, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়; ভারতের দিল্লিতে ৩৮টি; সাংহাইয়ে ৬৯টি; সাও পাওলোতে ৯২টি (ইউনিপেজ); মেক্সিকো সিটিতে ৫৭টি; কায়রোতে ৬৯টি; ঢাকায় ৫৯টি; মুম্বাইয়ে ৫৫টির বেশি, বেইজিংয়ে ৯০টি এবং জাপানের ওসাকায় ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ঢাকা পঞ্চম স্থানে আছে। 

ঢাকায় এত সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় থাকা বাণিজ্যিক দিকটাই সামনে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাণিজ্যিক পণ্য হয়ে গেছে। আর এত প্রতিষ্ঠানের জন্য তো মানসম্মত শিক্ষকও দরকার। কিন্তু দেখা যায়, একজন শিক্ষক তিন-চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে মানের চেয়ে বাণিজ্যিক দিকটাই গুরুত্ব পায় বেশি। -অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সদস্য, ইউজিসি

এর বাইরে দেশের আয়তন ও জনসংখ্যার বিষয় বাদে বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ কিছু শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান দেখা যেতে পারে। যদিও এ হিসেবে বাংলাদেশের ঢাকাকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা কষ্টসাধ্য। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে (আয়তন: ১২১৪ বর্গকিলোমিটার) স্নাতক-স্নাতকোত্তর ও এমফিল-পিএইডি অর্জনের জন্য মোট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও টেকনিক্যাল স্কুল রয়েছে ১৬৬টি (Cause IQ); দেশটির নিউ ইয়র্ক সিটিতে (৭৭৮.২ বর্গকিলোমিটার) মোট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১২০টি (Baruch College)।

জাপানের টোকিওতে (২৪০ বর্গকিলোমিটার) রয়েছে মোট ১৪৮ বিশ্ববিদ্যালয় (UNIPAGE); চীনের সাংহাই (৬২০০ বর্গকিলোমিটার) শহরে ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে (Statista)। এ ছাড়া, Aspire Atlantic-এর তথানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো (৬০৭.৪৪ বর্গকিলোমিটার) শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪৮, বোস্টনে (১২৫ বর্গকিলোমিটার) ১১৮, ফিলাডেলফিয়ায় (৩৬৯.৬২ বর্গকিলোমিটার) ৮০টির বেশি, হিউস্টনে (৬৩.৭ বর্গকিলোমিটার) ৬৪, সান দিয়েগোতে (৯৬৩ বর্গকিলোমিটার) ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

UniRank-এর তথ্যমতে ইংল্যান্ডের লন্ডনে (১,৫৭৯ বর্গকিলোমিটার) ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া, শহরটিতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তসহ আরও অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এসব শহরের মধ্যকার অধিকাংশই বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে ঢাকার তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। এ পরিসংখ্যান অনুসারে বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে ঢাকার অবস্থানকে অষ্টম স্থানে রাখা যায়। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের এ আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য সূত্রের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঢাকায় এত সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় থাকা বাণিজ্যিক দিকটাই সামনে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাণিজ্যিক পণ্য হয়ে গেছে। আর এত প্রতিষ্ঠানের জন্য তো মানসম্মত শিক্ষকও দরকার। কিন্তু দেখা যায়, একজন শিক্ষক তিন-চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে মানের চেয়ে বাণিজ্যিক দিকটাই গুরুত্ব পায় বেশি।

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, গবেষক, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ঢাকায় এত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার পেছনে মূলত দুই কারণ। একটি রাজনৈতিক ও আরেকটি ব্যবসায়িক স্বার্থ। মূল ব্যবসায়ীরাই রাজনৈতিক দলে থেকে নিজেদের স্বার্থে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এতে মানের চেয়ে বাণিজ্যিক দিকটা বেশি গুরুত্ব পায়।

এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষাবান্ধব রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন বলে মনে করেন এ শিক্ষাবিদ। তিনি বলেন, ঢাকায় এত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নেই। এগুলো বাইরের বড় শহরগুলোয় স্থাপন করা দরকার। পাশাপাশি পুরো ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। যদিও তা অনেক কঠিন। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো পরাশক্তিগুলোর সদিচ্ছারও দরকার আছে।