Image description

এআই ১৭১ নামটাই যেন হয়ে গিয়েছে ‘অভিশপ্ত’! আর তাই এয়ার ইন্ডিয়া এবার সিদ্ধান্ত নিল ওই নামে কোনও ফ্লাইট চালাবে না তারা। যদিও এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে এমন কোনও দাবি করেনি। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২৭৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহমেদাবাদ থেকে গ্যাটউইক (লন্ডন) যাওয়ার ফ্লাইটের নম্বর পরিবর্তন করে যেমন এআই -১৫৯ করা হবে। তেমনি ফিরতি ফ্লাইটের নম্বরও এআই ১৬০ করা হবে। 

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, শীঘ্রই এই পরিবর্তন সংঘটিত হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে, লন্ডনগামী বিমানটি উড্ডয়নের পর পরই  বিধ্বস্ত হয়, যার মধ্যে ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। সরকার এখনও হতাহতের সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ না করলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত করেছেন যে, ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন । বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ধাক্কা দিলে সেখানেও অনেক লোক নিহত হয়। বিমান সংস্থার একজন সাবেক কর্মকর্তা বলছেন, ফ্লাইটের নম্বর পরিবর্তনের পেছনের ধারণাটি হল ট্রমা বা খারাপ স্মৃতি মুছে ফেলা। এটি যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের মন থেকে আশঙ্কাকে দূর করার একটি উপায়ও।

শেষবার কোনও বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইটের নম্বর পরিবর্তন করেছিল ২০১৪ সালে।কুয়ালালামপুর-বেইজিং রুটে MH370 নামে চলাচলকারী একটি মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানের নম্বর পরিবর্তন করে MH318 করা হয়েছিল। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৭০ ছিল একটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট যা ৮ মার্চ, ২০১৪ তারিখে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর, উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর, ১৮১ জন যাত্রী এবং আটজন ক্রু সদস্য নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লায়ন এয়ারও তাদের ফ্লাইটের নম্বর  JT610 থেকে JT618 তে পরিবর্তন করে। এই ফ্লাইটটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয় এবং ১৮৯ জন যাত্রীর সকলেই মারা যান। 

সাবেক পাইলটরা বলছেন, 'বোয়িং ৭৮৭ বিমান সবচেয়ে নিরাপদ বহরগুলির মধ্যে একটি। এই ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত বিরল। তাই দুর্ঘটনার কারণ বোঝা বেশ কঠিন ।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস