Image description

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছে, এর সঙ্গে বিগত সরকারের বাজেটের ‘গুণগত ও কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন দেখছেন না’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার বিকেলে বনানীর হোটেল সারিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই বাজেট রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ব্যাংক থেকে সরকার যদি লোন নেয়, তখন প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ হয় না। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে।

তবে বাজেটের ওপর বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানতে আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেদিন দলের পক্ষ থেকে বাজেটের ওপর ভাবনা তুলে ধরা হবে বলে জানান আমীর খসরু।

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন আমাদের বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের মতো। সেটা মাথায় রাখতে হবে, রাজস্ব আয় মাথায় রাখতে হবে। এসব মাথায় রেখে যদি বলতে হয়, বলব—এই বাজেটের সাইজটা (আকার) আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল।

আমির খসরু মনে করেন, রাজস্ব আয়কে ভিত্তি করেই আসলে বাজেট প্রণয়ণ করা উচিত। এতে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার প্রবাহ থাকল, বিনিয়োগ থাকল, সুদের হার কমে এলো, বিদেশ থেকে ঋণ কমে এলো। বিদেশি ঋণের সুদও কম পরিশোধ করতে হবে। সেই জায়গা থেকে আমরা সরে আসতে পারিনি। মৌলিক জায়গায় গলদটা রয়ে গেছে।

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমার প্রত্যাশা সীমিত। কারণ হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ের ব্যাপার আছে। একটা নির্বাচিত সরকারের বাজেটের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি যে দীর্ঘ সময় থাকার মেয়াদ এই ব্যবধানগুলো আমাদের বুঝতে হবে। এজন্য আমি মনে করি, বাজেটের আকার বিগত সরকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।