
টুডে ডেস্ক
দীর্ঘ দেড় দশকের স্বেচ্ছাচার ও ফ্যাসিস্ট শাসনামলে লুটপাটের মহাযজ্ঞে নিজেদের নিবেদিত রেখেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হয়েছে নাগরিকদের রাজস্বের বিপুল অর্থও। সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের লুটপাটের জন্য বরাদ্দ করা বিপুল অর্থের অপচয় আটকে দিয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার।
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনঃমূল্যয়ন করে। সেখান থেকে পাঁচ বিভাগের মোট ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪৬ হাজার ৩০৮.০৪ কোটি টাকা। বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার।
তিনি লিখেন, সরকার কি করছে? প্রায়ই শুনি। আমরা বলি, তবু অনেকেই মানতে চান না। আজ মনে হলো একটা উদাহরণ সুনির্দিষ্ট তথ্য সহ সবাইকে জানানো দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনঃমূল্যয়ন করে দেখা গেছে যে প্রায় সব প্রকল্পেই অযৌক্তিকভাবে এস্টিমেটেড ব্যয় বা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকার এই খরচ কমিয়ে এনেছে।
সরকারের এই কর্মকর্তা লিখেন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগে ব্যয় সংকোচন হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৮৫৪.৩২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৮ হাজার ৩৬.৯০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগে ব্যয় সংকোচন ৭ হাজার ৪৫৪.৩১ কোটি টাকা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ব্যয় সংকোচন ১২ হাজার ৪২৫.৫১ কোটি টাকা।
তিনি জানান, সবমিলিয়ে এই পাঁচ বিভাগের মোট ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪৬ হাজার ৩০৮.০৪ কোটি টাকা। এই টাকাটা লুটপাটের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সরকার জনগণের এই টাকাটা বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।