Image description

আগামী জাতীয় নির্বাচনের দৃশ্যমান প্রস্তুতি অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটির (পিএমআরএস) চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ। তিনি বলেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার ও বিচারের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে। 

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়র্সে পিএমআরএসের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংস্কার; আশু করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে কি-নোট পেপার উত্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় জবিউল্লাহ জানান, অল্প সংস্কার ও বড় সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন। এসব কুতর্ক শুনলে হাসিনার আমলের ‘উন্নয়ন আগে, গণতন্ত্র পরে’ জাতীয় বস্তাপচা গল্পের কথা মনে পড়ে। সংস্কারের দোহাই নিয়ে নির্বাচন থামানো যাবে না। প্রকৃতপক্ষে সংস্কার নির্বাচন ও বিচার কেউ কারো বিরোধী নয়। 

সাবেক এই সচিব বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ পাবো। কিন্তু প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্বপদে বহাল রাখা, অন্যদিকে মানুষকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার স্বপ্ন দেখানো- এই বৈপরীত্যের অবসান ঘটানো উচিত। 

জবিউল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে ঐক্যমত্য হয়েছে তা দ্রুত প্রকাশ করা উচিত। তাহলে মানুষ জানতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের ব্যাপারে সত্যিই ইতিবাচক। বর্তমান সরকারপ্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের মাধ্যমেই ভোটাধিকার ফিরে পাবে, এটিই মানুষের প্রত্যাশা। 

পিএমআরএস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আশা করছি এই অর্ন্তবর্তী সরকারের নেতৃত্বেই আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। দেশে একটি জনকল্যাণ ও জবাবদিহিমূলক স্বচ্ছ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। 

(শীর্ষনিউজ