
বাণিজ্যিক প্রসারের লক্ষ্যে প্রায় দুই শ বছর আগে পরিকল্পিতভাবেই চকলেটের সংযোগ ঘটানো হয় প্রেম-ভালোবাসার সঙ্গে। সময়ের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে চকলেট। কিন্তু মধুর সম্পর্কের দারুণ এই অনুষঙ্গে বাধ সাধছেন বেরসিক অর্থ উপদেষ্টা। শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য চার ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১০ ডলার। এতে আমদানি করা সব ধরনের চকলেটের দাম বাড়তে পারে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা হচ্ছে আজ সোমবার। যেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ। তবে বিদেশি ঋণের দায় পরিশোধ এবং সরকার পরিচালনায় বিপুল অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় খড়গ পড়ছে দেশের রাজস্ব খাতে। বাড়ানো হচ্ছে কর, তুলে নেওয়া হচ্ছে বেশির ভাগ কর-অব্যাহতির সুযোগ।
স্টেইনলেস স্টিল ব্লেডের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। বাস-ট্রাকের বডি তৈরিতে বসছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী ও টয়লেট সামগ্রীর উৎপাদনে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ওপর ভ্যাট প্রতি কেজিতে তিন টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করা হচ্ছে। নারীদের সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত লিপস্টিক আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে শুল্ক ২০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪০ ডলার করা হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে বিদেশি খেলনা, মার্বেল-গ্রানাইট, মোটরযানসহ প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহৃত অন্তত দুই শতাধিক পণ্য।
তবে চকলেটের পরিবর্তে প্রেমের সম্পর্কে শক্ত জায়গা করে নিতে পারে আইসক্রিম। কারণ, সরবরাহ পর্যায়ে আইসক্রিমের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
বাস আমদানিতে ১০ শতাংশ হারের পরিবর্তে করহার করা হচ্ছে ৫ শতাংশ। পটাশিয়াম আয়োডেটের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করায় লবণের দাম কমতে পারে। পরিশোধিত চিনি আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক টন প্রতি ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এতে চিনির দামও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ক্রিকেট ব্যাট তৈরির উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে প্রধান কাঁচামাল কাঠ আমদানির শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৬ শতাংশ করা হচ্ছে।
ভ্যাট ও শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে, আর ভ্যাট ও শুল্ক-কর কমানো হলে দাম কমতে পারে।