
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার এক হাজার ৭৬৬ দিন পার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এ সময় আদালতের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
আজ সোমবার সকালে সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া বাকি ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সিনহার বোন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি। হত্যাকাণ্ডের ১৭৬৬ দিন পার হয়েছে। এরপর আমরা হাইকোর্টের রায় পেলাম। এখন আপিল বিভাগের কার্যক্রম শেষে রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।’
আজকের রায়কে ঐতিহাসিক রায় হিসেবে বর্ণনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘আজকের রায়ে সত্যের জয় হয়েছে। যেদিন সব প্রক্রিয়া শেষে রায় কার্যকর হবে সেদিন বলব আমরা সন্তুষ্ট।’
এ সময় তৎকালীন এসপি মাসুদ এ ঘটনায় ধোরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেলেন বলেও কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন সিনহার বোন।
উল্লেখ্য, সিনহা ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর, যিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।
হত্যার পাঁচ দিন পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ২৭ জুন ওই ১৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। সাত মাস পর ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনি রায় ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আজ হাইকোর্ট ওই রায় বহাল রাখলেন।