Image description

রংপুর নগরের সেনপাড়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল প্রাণনাশ বলে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 

জি এম কাদের বিবিসি বাংলাকে বলেন, পিস্তল-বন্দুক-রামদার মতো অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে রংপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি, আগে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ বলছে, মিছিলটি জিএম কাদেরের বাড়ির দিকে এগিয়ে গেলে সেখানে অবস্থান করা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে জিএম কাদেরের বাসার জানালার কাচ ভেঙে যায়।

পরে বাসার সামনে থাকা দুইটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি তবে আইনগত বিচারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হামলার সময় জি এম কাদের বাড়ির ভেতরেই ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, এক কর্মীর মেয়ের বিয়েতে অংশ নিতে রংপুরে এসেছেন তিনি। ঈদের আগে কয়েকদিন সেখানে থাকার পরিকল্পনাও ছিল তার।

তবে তার আসার কথা জানতে পেরে কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা। এ সময় পার্টি অফিসে হামলা হতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন।

কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই ৫০/৬০টা লোক হই হই করে বাসার মধ্যে ঢিল মারা শুরু করে বলে জানান জি এম কাদের। এসময় হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। হামলাকারীদের সঙ্গ পিস্তল-বন্দুক-রামদা ছিল এবং তারা তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই হামলা করেছিল বলে দাবি করেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির সদস্যরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই হামলা করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।