Image description
 
 

ভারতের পাকিস্তানে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিশেষ করে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে জবাবদিহিতার চাপ দ্রুত বাড়ছে।

শনিবার (৩১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে তেলঙ্গানার সেচমন্ত্রী ও সাবেক বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান পাইলট উত্তর কুমার রেড্ডি বলেন, সরকারকে এখন প্রকাশ করতে হবে পাকিস্তান কতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এই সত্য অস্বীকার করার সময় শেষ। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) অনিল চৌহান নিজেই স্বীকার করেছেন বিমান ক্ষতির কথা। পুরো দেশ জানতে চাইছে সরকার কেন বিষয়টি লুকাচ্ছে।

 

সিডিএস অনিল চৌহান, যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, শাংরি-লা নিরাপত্তা সংলাপে সিঙ্গাপুরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার সরাসরি স্বীকার করেছেন যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে।

 
 

তিনি বলেন, কতগুলো বিমান ভূপাতিত হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কেন এই ক্ষতি হলো তা বোঝা এবং সংশোধন করাই প্রয়োজন।

 

এর আগে, এয়ার অপারেশনসের মহাপরিচালক এয়ার মার্শাল একে ভারতী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যুদ্ধক্ষতি একেবারে স্বাভাবিক এবং যুদ্ধের অংশ।

তবে, এই স্বীকারোক্তির পর কংগ্রেস এই বিষয়ে সরব হয়েছে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী অপারেশন সিঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব জানতে চান এবং এ জন্য তারা সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

যদিও এই দাবিকে কেন্দ্র করে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে তাদের তীব্র সমালোচনা এসেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া রাহুল গান্ধীকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘নিশান-এ-পাকিস্তান’ বলে অভিহিত করেছেন।

পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চালানো অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর। এরপর দুই দেশের মধ্যে তীব্র সংঘাত শুরু হয়, যা চার দিনের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাময়িক শান্তিতে পরিণত হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের এই সামরিক ক্ষতির স্বীকারোক্তি এবং সরকারের বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা জাতীয় রাজনীতি ও জনমতকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। সামরিক কৌশল থেকে শুরু করে সরকারের জবাবদিহিতার প্রশ্ন উঠেছে। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।