Image description

মাদারীপুরের কালকিনিতে চোরকে ছাড়িয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে মারধরে আটজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) রাতে উপজেলার পুয়ালী মাদারীপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- একই এলাকার রশিদ হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ হাওলাদার (২৩) আবু ইসমাইল (২৪) ও তার স্ত্রী লুৎফুরন্নেছা এবং আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম। আহত অন্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে রাতে পূয়ালী মাদারীপুর এলাকার একটি মিলের মটর চুরি করে হারুন হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার নামের এক যুবক। মটর চুরি করা অবস্থায় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরের দিন সকালে সালিশে চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি। জীবনে আর চুরি না করার অঙ্গীকারে তাকে ছেড়ে দেয়া কথা হলেও আওয়ামী লীগ নেতা জুন্নু সরদার ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ লিখন সরদার চোরের ভগ্নীপতি শাহাবুদ্দিন ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে আসেন। এ সময় তারা চোরের পক্ষ হয়ে চোরকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে মসজিদের ইমাম ও নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত আটজন। 

আহত লুৎফুরন্নেছা বলেন, ‘আমাদের মিলের মটর চুরি করছে, উল্টো চোর সবুজ লোকজন নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করছে এবং ছেলেকে লোহা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এদের সঠিক বিচার চাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’

আহত ইসমাইল ও ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের মটর চুরি করছে। আমরা চোরকে হাতেনাতে ধরছি। পরে স্থানীয়রা ১০ মে সকালে বসে। পরে সবুজ চোর তার ভগ্নীপতিরা আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে এনে আমাদেরকে মেরে চোরকে নিয়ে গেছে। আমরা কেন সালিশ ডাকলাম এজন্য আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরা বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চোর সবুজ ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাইদ লিখন সরদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও সারা মেলেনি।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খন্দকার মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’