
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিয়ে চট্টগ্রামে বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের দেওয়া কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে নগরের জামালখান এলাকায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাস, অর্থ সম্পাদক সুদীপ্ত গুহ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইদুল হক, সহসভাপতি এ্যানি চৌধুরী, ঢাকা নগরের সংগঠক তানভীর হোসেন, চটগ্রাম শাখার সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া, ইউএসটিসির সংগঠক সৌমেন, নগর শাখার অর্থ সম্পাদক অর্পিতা নাথ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক রিশাদ আমিন, সংগঠক ইশান বড়ুয়া, শফিক ইসলাম এবং অপর দুইজনের নাম জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে মাথায় আঘাতে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা থেকে খালাসের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য বিকাল ৩টার দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এ দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনের চত্বর ছেড়ে যাবার পর সেখানে শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। এ সময় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া সমাবেশের ব্যানারে আগুন দিয়ে দেয় তারা।
হামলার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সভাপতি পুষ্পিতা নাথ বলেন, আমরা সমাবেশের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজ থেকে আমাদের সমাবেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হয়।
জুলাই ঐক্যমঞ্চের চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান রিয়াদ বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ বানিয়ে তথাকথিত আন্দোলনের নামে এই বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছিল। তারা যদি জুলাইয়ের চেতনা ধারণ না করে, আবার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আমরা আজকের মতোই প্রতিহত করবো।
দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন সংযোগ কেটে দেন।