
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর কেউ যুদ্ধাপরাধ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজ বার্ড কলেজের ভিজিটিং অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘ভারত মুক্তিদের ড্রাগ খাইয়ে পাকিস্তানি মিলিটারির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল! জামায়াতে ইসলামীর কেউ যুদ্ধাপরাধ করেনি।’
ওই পোস্টের কমেন্টে তাইফ আহমেদ নামের একজন লেখেন, ‘যুদ্ধাপরাধ প্রমাণে এতো এতো মিথ্যা স্বাক্ষ্য যোগাড়ের বিষয়টিও নিশ্চয়ই ড্রাগের কুপ্রভাব?’
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দেওয়া কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্ব্বোচ আদালত এ রায় দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে জামায়াত নেতা আজহারের বেকসুর খালাস পাওয়ার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘এই মামলার আগের রায়ে বাংলাদেশেসহ এই ভারতীয় উপমহাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা বদলে দেওয়া হয়েছিল, যেটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। এছাড়া আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ কোন অ্যাসেসম্যান্ট ছাড়াই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল। যেটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।’