
হত্যাকাণ্ডের শিকার ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের বড় ভাই এস এম শরিফুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচারের নামে যেন কোনো প্রহসন বা কালক্ষেপণ না করা হয়।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এস এম শরিফুল আলম বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচারের নামে যেন কোনো প্রহসন বা কালক্ষেপণ না করা হয়। তাছাড়া কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনোভাবেই ফেঁসে না যায়। প্রকৃত অপরাধীরা যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সেই দাবি জানান তিনি।
এসময় তিনি মামলার অগ্রগতি বিষয়ে উপাচার্য ও প্রক্টরের তৎপরতায় ধন্যবাদ জানান।
এর আগে বেলা ১১টায় আন্দোলনকারীরা প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন। তারপর মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। পরে তারা শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন।
এসময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘শেইম শেইম, ইন্টেরিম’, ‘সাম্য, সাঈদ, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, সাম্যের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসব। এখানে আমরা মামলার অগ্রগতি বিষয়ে কথা বলব এবং মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির কথা জানাব।
সমাবেশ শেষে দুপুরে তারা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বিত একটি প্রতিনিধি দল মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে থানায় প্রবেশ করে।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে ঢাবির আইইআরের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ না হতেই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ফের শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন তারা।
এর আগে শুক্রবার সাম্য হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগ ঘেরাও করেন আইইআর ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।