Image description

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে নেতৃত্ব দেওয়ার দরকার ছিল বিএনপির—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিভিশনে আয়োজিত একটি টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সারোয়ার তুষার বলেন,

“আমার মনে হয়, বাংলাদেশের প্রাচীন ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি—তাঁদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা হয় বার্ধক্যজনিত কারণে অথবা গণ-অভ্যুত্থানের বাস্তবতা বোঝার অক্ষমতার জন্য এই সময়টাকে ঠিকমতো ধরতে পারছেন না। সময়টা ধরতে না পারার ফলেই এমন একটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো, অথচ আপনারা একদিকে বললেন, ‘আমরাই আগে চিঠি দিয়েছি’, আবার অন্যদিকে দলের আরেক নেতা বললেন, ‘এই নাটকের কী দরকার!’”

তিনি আরও বলেন,

“আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির, কিন্তু তারা সেই নেতৃত্ব দিতে পারেনি। অথচ আওয়ামী লীগের হাতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে তারাই। ৫ই আগস্টের পর তাদেরই সবার আগে রাজপথে নামা উচিত ছিল, বলার উচিত ছিল—আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে থাকতে পারবে না। কারণ তারা এমন এক প্রলয়ংকরী শক্তি যারা আমাদের ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তারা তা করেনি।”

সারোয়ার তুষার অভিযোগ করেন,

“তারা শুধু বলেছে, ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে’, ‘আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধ চাই না।’ এসব কথাবার্তা বলেছে। কিন্তু যখন আন্দোলনটা সফল হয়েছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তখন তারা আর প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে পারছে না। বরং তারা কৌশলে বলছে, ‘আমরাই প্রথমে চিঠি দিয়েছি’, ‘আমরাই আগে থেকে চেয়েছি।’”

সারোয়ার তুষার আরও বলেন, “বাস্তবতা হলো, মানুষ যা দেখেছে তা-ই বিশ্বাস করেছে। তারা দেখেছে দেশে একটি বড় আন্দোলন চলছে, কিন্তু বিএনপি সেখানে নেই। জনগণের চোখে এই অনুপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে গেছে।”