
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক সম্প্রতি এক অনলাইন টকশোতে বলেন, ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই দেশে খুনি মাফিয়া শেখ হাসিনার সেই আওয়ামী লীগ থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, যেই আইনের ভিত্তিতে এই সরকার বসে আছে, সেই সরকারটা কোন আইনের ভিত্তিতে আছে? আর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আবার কোন নতুন আইনের প্রয়োজন আছে? জনগণের প্রত্যাশা ছিল যে, এটা একটা বিপ্লব হয়েছে। এটা এক ধরনের বড় ধরনের আন্দোলন হয়েছে, যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে গত ৫৩ বছরে আপনি দেখাতে পারবেন না—স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে।
তিনি আরও বলেন, উচিত ছিল প্রথম দিনই সেই সরকারের পক্ষ থেকে, বর্তমানে যারা অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে আছেন তাদের পক্ষ থেকেই, আজকের যে গেজেটটা প্রকাশ করেছেন, এই ধরনের গেজেট প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। যেকোনো মূল্যে—সেটা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে হোক বা তাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের জায়গা থেকে হোক—তারা সেটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের সকল অ্যাকটিভিটিজকে বন্ধ করবে। কিন্তু খুব দুঃখভরাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি, গত নয় মাস পর্যন্ত আমাদেরকে আবারও আন্দোলন করতে হলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য।
উল্লেখ্য, গতকাল (১২ মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ তাদের সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত।