
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণে আর বাধা থাকছে না বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতে আপিল করবে কি না জানতে চেয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১৫/২০২০-এর রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে বৈধ ঘোষণা করা হলে, নির্বাচন কমিশন ২৭শে এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে। গেজেটে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে শপথ গ্রহণসহ প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপরই ৫ই মে স্থানীয় সরকার বিভাগ ‘বিজ্ঞ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুসারে সংশোধিত গেজেট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধান’- শীর্ষক একটি পত্র নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রেরণ করে। তাতে জানানো হয়, নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের মামলাটিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পক্ষভুক্ত বিবাদী হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। ফলে বিবাদী পক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় মামলাটিতে একতরফাসূত্রে রায় প্রদান করা হয়। এমতাবস্থায়, এই বিভাগ কর্তৃক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আগে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের মামলা নং ১৫/২০২০-এ প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতে আপিল করবে কি-না অথবা অন্য কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কি-না সে সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক। এতে আরও বলা হয়, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান কর্তৃক সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ ৬ জনের উদ্দেশ্যে গত ২৮শে এপ্রিল ২০২৫ তারিখে এই মামলাজনিত বিষয়ে একটি উকিল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিল অথবা আইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসি’র সিদ্ধান্ত জানতে চায় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতে আপিল করবে কি না জানতে চেয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। নির্বাচন কমিশন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর আদালত সেই নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করে এবং ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে রায়ে উল্লেখ করেন।