Image description

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গোপালগঞ্জে পক্ষে বা বিপক্ষে কোন মিছিল করেনি কোন রাজনৈতিক দল। শনিবার (১০ মে) রাতে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যদিও এর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে।

গোপালগঞ্জ বরারবই আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয় লাভ করেছে। তবে ৫ আগস্ট  আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় পুরো চিত্র। হামলা-মামলার ভয়ে গাঁ ঢাকা দেয় নেতাকর্মীরা।  

এদিকে, শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এ জেলার কোথাও প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়নি। এছাড়া, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও কোন ধরনের মিছিল করতে দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক জানান, উপদেষ্টাদের প্রেসব্রিফিং এ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বা আলোচনা করা উচিত ছিল। নিষিদ্ধের বিষয়টি  জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান জানান, যে কোনো অন্যায়ের বিচার হওয়া উচিত। অন্যায়ের বিচার না হলে বারবার সংঘটিত হতে পারে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে সারা বাংলাদেশে অর্থনীতির ওপরে, সমাজের ওপরে, ভোটের ওপরে, গণমাধ্যমের ওপরে তারা যে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে তাদের জন্য এমন কঠিন সিদ্ধান্ত হওয়াই উচিত ছিল। তিনি আরও জানান, বাকিটা কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেভাবেই আমরা কাজ করবো।

তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতারা এলাকায় না থাকায় ও তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।