Image description

আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

এর আগে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক হিসেবে আইয়ুব খান ক্ষমতা নেওয়ার পর সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেন। 

এবার ২০২৫ সালের ১০ মে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনালগ্নে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের এক বেতার ভাষণে আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওইদিন, ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালের রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ঐ ভাষণে ইয়াহিয়া খাঁন শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনেন এবং তাদের ‘পাকিস্তানের শত্রু’ বলে আখ্যায়িত করেন।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেন, "শেখ মুজিব ও তাঁর অনুসারীরা পাকিস্তানকে ভাঙতে চায়—এটি একটি অপরাধ, যার শাস্তি অনিবার্য।" সেইসঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, "সারা দেশে সর্বপ্রকার রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগকেও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।"

তাঁর ভাষণে সেন্সর ব্যবস্থা, সামরিক আইন জারি এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার আদেশ দেওয়ার কথাও উল্লেখ ছিল। পাশাপাশি তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত থাকবে।