
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের বাস্তবতায় ছাত্রদল বারবার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু যারা বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে তারা ছাত্রলীগকে শুধু নিষিদ্ধ করেই দায়মুক্ত হতে চায়। নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও এখনো ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মিছিল করে বেড়ানোর সাহস দেখাচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা বারবার হুংকার দিচ্ছে।
আজ শনিবার (১০ মে) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাকিব বলেন, আমাদের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা রাজপথে রয়েছে। আমাদের কর্মসূচি এখনো শেষ হয়নি। আমাদের এই তারুণ্য শক্তির উপর ভর করে আমরা তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীই আমাদের প্রাণ। আজকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে দাড়িয়েছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিচার। জুলাই আন্দোলনের বাস্তবতায় আমাদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বার বার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এসেছি। কিন্তু যারা বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে তারা ছাত্রলীগকে শুধু নিষিদ্ধ করেই দায়মুক্ত হতে চায়। নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও এখনো ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মিছিল করে বেড়ানোর সাহস দেখাচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা বার বার হুংকার দিচ্ছে। এমনকি গাজীপুরে তারা এক জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা চালানোর সাহসে পর্যন্ত দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারকে আমরা বারবার সতর্ক করেছি এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কর্মসূচি পালন করেছি। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যখন মিছিল করে তখন এই বাংলাদেশে ছাত্রদল ব্যতীত আর কেউ তাদেরকে প্রতিহত করে না। প্রতিহত করেই আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে যে-সব ছাত্রলীগকে ধরতে পেরেছে, তাদেরকে পুলিশে সোপর্দও করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, চিহ্নিত ছাত্রলীগ দেখলেই প্রশাসনকে অবহিত করার। কিন্তু প্রশাসনকে অবহিত করলেও তাদের ন্যূনতম প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাইনি।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, আওয়ামী লীগের যে-সকল নেতাকর্মী জেলখানায় আছে তারা আয়েশি জীবন-যাপন করছে এমনকি তারা কারাগারে মোবাইলও ব্যবহার করছে। এই সরকার আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে।