
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তীব্র দাবদাহে গত দুদিন থেকে রাস্তায় রয়েছি, ফলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ‘আন্দোলন প্রত্যাহার’ করা হয় তারপরও আপনারা নিজেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শনিবার শাহবাগ মোড়ে বিকাল চারটার দিকে গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ বার্তা দেন এনসিপির এই নেতা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আরও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, যতই ষড়যন্ত্র ও প্রেসার আসুক জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে কেউ পারবে না। আমি যদি আর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবারের ন্যায় গণজমায়েত শুরু হয়েছে। এই গণজমায়েত কর্মসূচিতে এনসিপি ছাড়াও যোগ দিয়েছেন, জুলাই মঞ্চ, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন দল ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আজকের (শনিবার) গণজমায়েত থেকে সিদ্ধান্ত আসবে আন্দোলন কোন দিকে যাবে। যদি আজ রাতের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসে, কাল থেকে সারা দেশের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগ মুখর করে রেখেছেন—‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আজাদী না গোলামি, আজাদী-আজাদী’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি।