Image description

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে একটি কক্ষে আটকে রেখে পেটাচ্ছে কয়েকজন তরুণ। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। এনিয়ে নগরীতে মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। 

তবে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলছেন, ফেইক আইডি থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে এবং ভিডিওটি ফেইক হতে পারে।

সম্প্রতি আপেল মাহমুদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষের ভেতর টেবিলের সামনে দাঁড় করিয়ে দুজন তরুণ অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে পেটাচ্ছে। আরও কয়েকজন তরুণ পাশের টেবিলে বসে আছে। তবে যে পেটাচ্ছে তার মুখে মাস্ক পড়া। এ নিয়ে ময়মনসিংহে আলোচনা-সমালোচনা এবং নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান নান্দাইলে একটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। কলেজে অধ্যাপনা করার সময় থেকে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি ছিলেন ক্লিন ইমেজের একজন নেতা। তাকে এমনভাবে পেটানোর ঘটনায় ময়মনসিংহে আলোচনা-সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে আটক করা হয়েছে বা তাকে পেটানো হচ্ছে এমন ঘটনা তাদের জানা নেই। ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা ভিডিওটির কথা শুনেছি, তবে ভিডিওটি কবে কার আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে তাও আমার জানা নেই।

তিনি বলেন,  ভিডিওটি ফেইক আইডি থেকে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তবে আমার মনে হয় এটি ফেইক ভিডিও।

এ ঘটনাটি জানতে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।