Image description

নারীদের অধিকার আদায় ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার (০৩ মে) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।

তিনি বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। ২৩মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

এদিন দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর মুনাজাতের মাধ্যমে আজকের মহাসমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় মহাসমাবেশ শুরু হয়।

মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী এবং পরিচালনা করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী।

হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করি। আজও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মতো আবারও ইস্পাতকঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি- এনজিও গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ইসলাম বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে ধর্মীয় অবমাননা শাস্তির আইন বাতিলের সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

মহাসমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নায়েবে আমির ও বেফাকুল মাদারেসিনের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও কোরআন বিরোধী প্রতিবেদক বাতিল পূর্বক আলেমদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। বহুত্ববাদ শব্দ বাদ দিতে হবে। জুলাই ও শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালে গতি আনতে হবে। অবিলম্বে আওয়ামী খুনিদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, খুনি আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে তাদের সব কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমে সংস্কার করতে হবে।