Image description
শৃঙ্খলা ভঙ্গে ‘জিরো টলারেন্স’: প্রভাব ফেলবে দলীয় মনোনয়নে বিএনপির কর্মীদের নামে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে : মির্জা আব্বাস :: বিএনপির বিরুদ্ধে মহলবিশেষ নানা গুজব প্রচার করছে : রুহুল কবির রিজভী :: হাইকমান্ড কোনো অন্যায়ে জড়িত কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না : মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল :: অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছি : আবদুল মোনায়েম মুন্না

শেখ হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী লীগ কার্যত মৃতপ্রায়; জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন মধ্যগগনে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বত্রই বিএনপি আর বিএনপি। জামায়াত, এনসিপিসহ অন্যান্য দলগুলো সাংগঠনিক তৎপরতা গণমাধ্যমে জোরদার প্রচারণা হলেও বিএনপির কাছাকাছি কেউ নেই। গণমানুষ আর বিএনপি যেন ‘সামর্থক’ হয়ে গেছে। তারপরও বিএনপির কিছু নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্যে কিছু নেতার নাম উঠেছে। বিএনপি কিছু নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারপরও মিডিয়ায় বিশেষ করে পলাতক হাসিনার সুবিধাভোগী কিছু গণমাধ্যম বিএনপির কিছু নেতার অপকা- ফলাও করে প্রচার করছে। তবে বিএনপির মূল নেতৃত্ব বিতর্কিত কর্মকা-, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। যাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকা-ের অভিযোগ উঠেছে তাদের উপর ‘নজরদারি’ চলছে। বিএনপির দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই তথা মনোনয়নে শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বিতর্কিত কর্মকা- নেতিবাচক হিসেবে দেখা হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ অনেক ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত। যেভাবে বিএনপিকে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তা দিয়ে কোনো কোনো মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বিএনপির বিরুদ্ধে তারা নানা গুজব প্রচার করছে। এসবের অনেক ঘটনাই বানোয়াট। যেসব ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দলীয় শৃঙ্খলা ধরে রাখতে কঠোর অবস্থানে বিএনপি। দলের যেকোন পর্যায়ের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এবং প্রমাণিত হলে শোকজ ও প্রয়োজনে প্রাথমিক সদস্য পদসহ বহিষ্কার করা হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রতিটি সভা-সমাবেশে বার্তা দিচ্ছেন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে, অনৈতিক ও বিতর্কিত কর্মকা-ে জড়ালে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকবে দল। দলের এই অবস্থানের কারণে গত প্রায় ৯ মাসে এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার, অব্যাহতি ও পদাবনতি করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে প্রায় ১৩শ’র মতো নেতাকর্মীকে। জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকেও। তবে এতোকিছুর পরেও এখনো বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কোন কোন নেতা আবার কোথাও বিএনপির নাম ব্যবহার করে দলের বাইরে থাকা লোকজন চাঁদাবাজি, জমি, ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বালু মহাল, পাথর কোয়ারি দখল, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এছাড়া আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়াচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসবের পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতারাই। যা এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বিএনপিকে চরমভাবে বিতর্কিত করে তুলেছে।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং যেকোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকা-ের বিষয়ে বিএনপি জিরো টলারেন্স। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নীতিনির্ধারক নেতৃবৃন্দকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে কোনরকম ছাড় কিংবা শিথিলতা যাতে প্রদর্শন করা না হয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যত বড় নেতাই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে যার এসব ঘটনার সঙ্গে ন্যূনতম কোন সংশ্লিষ্টতা থাকবে তাদেরকে নজরদারিতে রাখা, আগামী নির্বাচনের সময়ে মনোনয়নে যাতে এসব নেতা কোনভাবেই মনোনয়ন না পায় সে নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, দলের যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসছে এবং প্রমাণিত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেককেই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। যারাই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন কিংবা ইন্ধন, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবেন তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। এমনকি ন্যূনতম সম্পৃক্ততা থাকলে আগামী নির্বাচনে তারা মনোনয়নও পাবেন না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপির অবস্থান সাধুবাদযোগ্য। কারণ এহেন সব অভিযোগের পরও হাইকমান্ড যদি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এসব বিষয় দলের ভাবমর্যাদা নষ্ট করবে। কারণ এরই মধ্যে যেসব কর্মকা- ঘটেছে, তাতে ১৬ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতা-কর্মীরাই উল্টো জনতার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। এর প্রভাব পড়তে পারে ব্যালট বাক্সে।

যদিও দেড় দশক ধরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করতে গিয়ে ৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দেড় লাখ। গুম হয়েছেন ৫শ’র বেশি নেতাকর্মী, হত্যার শিকার হয়েছেন আরো অসংখ্য। আওয়ামী বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়েছেন বহু নেতাকর্মী। বছরের পর বছর হামলা-মামলার যাঁতাকলে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য খুঁইয়ে পথে বসেছেন অনেকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষকে হারিয়ে অসহায়ের মতো দিনাতিপাত করছে গুম-খুনের পরিবারগুলো। এতো কিছুরপরও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন নেতাকর্মীরা। হামলা-নির্যাতনে দীর্ঘদিনের এই লড়াইয়ে দেশের মানুষের কাছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি।

আন্দোলন-সংগ্রামের নানা ধাপ পেরিয়ে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ দেড় দশকের এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনেকেই আশঙ্কা করছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যদিও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ নেতিবাচক কর্মকা-ে জড়িয়েছেন। পরবর্তীতে যাদের বিরুদ্ধেই বিশৃঙ্খলা বা দখলদারিত্বে জড়িত থাকার ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পেয়েছেন, তাদের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করার আহ্বান জানিয়ে অঘোষিতভাবে সারা দেশে দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন তারেক রহমান। কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকেই করা হয়েছে মামলা।

তবে ৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি সমালোচিত ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করে বিএনপি। একই ঘটনায় চট্টগ্রামে বিএনপির দক্ষিণ জেলা শাখার আহবায়কসহ স্থানীয় তিন নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। সেই কমিটিও বাতিল করে দেয় বিএনপি। বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পদাবনতি হয়। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শোকজ করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের মতো নেতাদেরও। রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনাও ছিল বেশ আলোচিত। ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কবির ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত। এ ঘটনায় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদ স্থগিত করে দল। ময়মনসিংহের ভালুকায় ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করায় দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে দল থেকে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়।

বরিশাল নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় বিরোধ, রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সুযোগে পুকুর দখল ও ট্রাক দিয়ে বালু এনে সেটি ভরাটের অভিযোগ ওঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহানের (শিরিন) বিরুদ্ধে। পরে তার পদ স্থগিত করা হয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবকে সরিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। রাজধানীর পরিবহন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। সিলেটে পাথর কোয়ারি, হাটবাজার, বাসটার্মিনাল, টেম্পুস্ট্যান্ড, কমিশন বাণিজ্য, চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির বিরুদ্ধে, চট্টগ্রামের রাউজানে দুই নেতার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, সংঘর্ষ, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও হত্যাকা-ের অভিযোগ পৌঁছেছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত। একইভাবে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নামে কোথাওবা বিএনপির নাম ব্যবহার করে প্রতিদিনই নানারকম অনিয়ম, বিতর্কিত কর্মকা- করছেন বিএনপি নেতাকর্মী কিংবা বিএনপি নেতার আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিরা।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার ও প্রতিশোধ পরায়ণ না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে নির্দেশ বিএনপির নেতাকর্মীরা পালন করেছেন। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জায়গা থেকে নানা অভিযোগ এসেছে, আমরা যেগুলোর সত্যতা পেয়েছি সেগুলোতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আবার বেশিরভাগ স্থানে দেখা গেছে বিএনপি কিংবা যুবদলের নাম ব্যবহার করে অনেকে নানা অপকর্ম করেছে, কোথাও কোথাও দলের পদ-পদবিতে নেই এমন লোকজন এসব করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকে না। তারপরও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমরা দলের পক্ষ থেকে বলেছি, যারাই অপকর্ম করবে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। কোনো ঘটনায় কারও নাম এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিএনপি হাইকমান্ড কোনো অন্যায়ে জড়িত কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের ধূর্ত কর্মীরাই এখন বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলে ঢুকে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় তারা টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তারা বেশ পরিবর্তন করে চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এরা অপকর্ম করে বিএনপির কর্মীদের নামে অপবাদ ছড়াচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি এখন কোন চাঁদাবাজি করে না, প্রথম দিকে কিছু ছিল আমরা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন এই মুহূর্তে বিএনপিকে চাঁদাবাজির অপবাদ দেয়া অন্যায়, এই মুহূর্তে বিএনপি চাঁদাবাজি করছে না।