
সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না এলেও ডিসেম্বরেই নির্বাচন ধরে মাঠে নামছে বিএনপি। ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করতে নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের মতামত। পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচন প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ঈদের পর আসছে কর্মসূচি—এমনটাই জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় নির্বাচনেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। ভোটের মাঠের ছক সাজাচ্ছে দলের হাইকমান্ড। তৃণমূলে প্রাণ ফেরাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খোঁজ-খবর নিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে।
এদিকে, নিজ নিজ আসনে সক্রিয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। নেতারা বলছেন, যাচাইবাছাই শেষে ৩ থেকে ৫ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম যাবে কেন্দ্রে।
দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, ‘একটা ব্যালেন্স করা হবে। যারা দায়িত্বে থাকবে তাঁরা সংগঠন নিয়ে থাকুক; যারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবে তাঁরা যাতে তাঁদের ভূমিকাটা যথাযথ রাখতে পার—এমন একটা চিন্তাভাবনা দলের থাকতে পারে।’
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে এক নেতার এক পদ বিষয়টি মাথায় রাখা হবে। প্রাধান্য পাবেন বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকা নেতারা।
স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি আসনে বিএনপির অন্তত চারজন করে প্রার্থী প্রস্তুত আছেন, যারা সমানভাবে শক্তিশালী। এক নেতা এক পদেই থাকা উচিত; ব্যক্তিকে পদ পছন্দ করার সুযোগ দেওয়াও হয়েছে। আরেকটি পদ সহকর্মীর জন্য ছেড়ে দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।’
দেশবাসী ভোটের অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে দ্রুত নির্বাচন আদায়ই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য বলেও জানাচ্ছেন নেতারা।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার যদি দ্রুতই নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা না করে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবার মাঠে নামব। মাঠে নেমে কী পদ্ধতিতে আন্দোলন হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আমরা ঘোষণা করব।’
দ্রুত নির্বাচন আদায়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকেও পাশে চাইছে বিএনপি।