Image description
 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ঝিনাইদহ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করেন। সেখানে খাটে শুয়ে ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান। ভিডিওতে এলমা খাতুনের হাতে একটি মদের বোতলও দেখা যায়।

ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর তা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনকে সাময়িকভাবে তাদের পদ থেকে স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ নিয়ে শনিবার (২৯ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা ভিডিওটির সত্যতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, ভিডিওটি বিকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেটে সম্পাদনা করে প্রচার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, “সাংগঠনিক আলোচনা শেষে গভীর রাতে ঝিনাইদহে ফেরার জন্য গাড়ি না পাওয়ায় আমরা এক শুভাকাঙ্ক্ষীর বাড়িতে অবস্থান করি। সেখানে আমরা পাঁচজন পুরুষ ও দুইজন নারী সদস্য ছিলাম। কিন্তু ভিডিওতে স্বাভাবিক আড্ডার দৃশ্য কেটে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”

তারা আরও জানান, “আড্ডার এক পর্যায়ে ফ্রিজ খুলে একটি বোতল দেখতে পাই, যা মদের বোতল ছিল। কৌতূহলবশত সেটি নিয়ে আলোচনা ও মজা করা হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউই মাদকাসক্ত নই, বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।”

নেতারা স্পষ্ট করেন যে, ভিডিওতে কোনো অনৈতিক কার্যকলাপ হয়নি। বরং এটি বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চরিত্রহনন করা যায়। তারা বলেন, “ভিডিওতে এলমা খাতুন ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে খাটের একপাশে অবস্থান নেন, আর সদস্য সচিব কম্বল দিয়ে নিজেকে ঢেকে নেন। সেখানে কোনো অনৈতিক ঘটনার প্রশ্নই ওঠে না।”

সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এটি একটি ষড়যন্ত্র এবং সংগঠনের নেতাদের আন্দোলন থেকে দুরে সরানোর অপচেষ্টা। তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান, এই ভিডিওর মূল সংস্করণ প্রকাশ করে এবং এর প্রচারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

নেতারা আরও বলেন, “আমাদের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুন রাজপথের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আগামী দিনেও তারা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। কাজেই মিথ্যা ভিডিও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”