সোহেল রানা বলেন, ‘দীর্ঘসময় ধরে চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করেছি। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছি। দীর্ঘ পথচলায় আমার স্বজন-সহকর্মী ও দর্শকরা পাশে থেকেছেন। তাদের ভালোবাসা নিয়েই আমি বেঁচে আছি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেকটা সময় অতিক্রম করায় মনে হলো অভিনয় থেকে অবসর নেয়া উচিত। তাই অভিনয়ে আমাকে আর কেউ দেখবেন না। তবে একটি সিনেমা পরিচালনা করব।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন গুণী এই মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীন করতে যেমন যুদ্ধে নেমেছিলেন, ঠিক তেমনি রাজনৈতিকভাবেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপট, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময় নানা বিষয় বিশ্লেষণ করে রাজনীতিকেও ফুলস্টপ করে দিলেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বয়স তো অনেক হয়েছে। এখন নিজেকে সময় দেয়া প্রয়োজন। পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় দেয়া উচিত। এ কারণে রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম সেটি আর থাকা হচ্ছে না।
অগণিত ভক্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে গুণী এই অভিনেতা বলেন, জীবনে শেষ অবধি আমার ভক্তদের ভালোবাসা চাই। দর্শকের ভালোবাসার ঋণী হয়ে থাকতে চাই। কবর পর্যন্ত ভালোবাসার ঋণ নিয়ে যেতে চাই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। প্রযোজক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন পারভেজ ফিল্মস। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন নির্মাণ করেন তিনি।
১৯৭৩ সালে অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। আর এ সিনেমার মাধ্যমেই সোহেল রানা চরিত্রের অভিনেতা মাসুদ পারভেজ হয়ে ওঠেন পর্দার সোহেল রানা।
একই সিনেমার মাধ্যমে মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন। অভিনয় ক্যারিয়ারে ‘এপার ওপার’, ‘দস্যু বনহুর’, ‘জীবন নৌকা’সহ তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।