
লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নে লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় মাছ ধরা নিয়ে বাংলাদেশের মাদব চন্দ্রকে (৪০) পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ভারতীয় বেশ কয়েকজন নাগরিক।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাদব চন্দ্র লোহাকুচি এলাকার মৃত মদন মোহনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাকুচি সীমান্তে মালদা নদীতে মাছ ধরতে টেপাই (বাঁশ দিয়ে তৈরি মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ) স্থাপন করে বাংলাদেশিরা। প্রতি দিন ওই টেপাইয়ের মাছ চুরি করে নিয়ে যায় ভারতীয়রা। আজ বেলা ১১টার দিকে মাদব চন্দ্র নদীতে গিয়ে দেখেন, ভারতীয়রা তার টেপাই থেকে মাছ চুরি করছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভারতীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে মাদবকে মারধর করে। এ সময় মাদব চন্দ্র জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিইও লে. কর্নেল মেহেদি বলেন, ‘লোহাকুচি সীমান্তের মালদা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশি মাদব চন্দ্র ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং স্থানীয়দেরকে শান্ত করি। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আহত মাদব চন্দ্র বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সীমান্তে বর্তমানে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’