Image description

ছাত্রশিবিরের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ডা. শফিকুর রহমান প্রশ্ন করেন,“যদি ছাত্রশিবির পরিচয় গোপন করে কোনো অপকর্ম করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে চার্জ আনুন, অভিযোগ আনুন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারলেন না যে, অমুকের মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় কারও ওপর জুলুম করেছে, মারধর করে কাউকে রুম থেকে বের করে দিয়েছে, চাঁদা দাবি করেছে।”

তিনি বলেন,“শুধু বলা হচ্ছে, তারা পরিচয় দেয়নি। কিন্তু পরিচয় দেওয়ার পরিস্থিতি কি তাদের ছিল? সবারই কি পরিচয় দেওয়ার সুযোগ ছিল? সরকারের নির্যাতনের কারণে অনেকেই তো পরিচয় দিতে পারেনি। তাহলে শুধু শিবিরের ক্ষেত্রেই এই প্রশ্ন কেন?”

তিনি আরও বলেন,“তারা কি তাইলে বুকে একটা সাইনবোর্ড লাগিয়ে আন্দোলনে আসত যে ‘আমি শিবির’? অন্য কেউ কি এভাবে পরিচয় দিয়েছে? যদি কেউ না দিয়ে থাকে, তাহলে শুধু তাদের ক্ষেত্রেই এই প্রশ্ন কেন?”

 

জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্রসংগঠনের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন,“ছাত্রশিবির কৌশল করেছে বলে দেশটা স্বাধীন হয়েছে এবং তারা কন্ট্রিবিউট করতে পেরেছে। এখন বলা হচ্ছে এটা স্বাধীনতা। যদি এটা স্বাধীনতা হয়ে থাকে তাহলে স্বাধীনতায় যার যা কন্ট্রিবিউশন আছে, তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা উচিত।”
 এক ইন্টারভিউয়ে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর। 

 

গণআন্দোলনের প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন,“এটা কখনো বলবো না যে এটা জামাত-শিবিরের আন্দোলনের ফসল। এটা দেশবাসীর আন্দোলনের ফসল। গোটা দেশবাসী এখানে সম্পৃক্ত। এত মানুষ কি জামাত-শিবিরে আছে নাকি?”

তিনি আরও বলেন,“এটার কোনো ক্রেডিট এককভাবে বা মেজরিটি জামাতে ইসলামী কখনো দাবি করেনি এবং করবেও না। জনগণ বিচার করবে কার কী ভূমিকা ছিল বা ছিল না। জনগণ তো অন্ধ না, তাদের চোখ খোলা। বিচার ব্যবস্থার দুয়ারও বন্ধ না, সেটাও খোলা। এটা জনগণই ডিসাইড করবে। আমরা সে জায়গায় যেতে চাই না।”

তিনি বলেন,“আমার ধারণা, ন্যূনতম পাঁচ থেকে সাত কোটি মানুষ রাস্তায় নেমেছে। যদি আমাদের এত মানুষ থাকতো, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ! আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে এবারে সেজদায় স্থায়ীভাবে পড়ে যেতাম।”

দেশের তরুণ সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,“একটি ছাত্র সংগঠনের ভাইদের বক্তব্য দেশের মানুষ বিবেচনায় নেবে। তরুণ ছাত্র সমাজও বিবেচনায় নেবে। সে ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য করার দরকার নাই।”