
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার আন্দোলন, রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "লাঠিসোটা হাতে আন্দোলনে ছিলাম, কারণ আমরা মনে করেছিলাম যে এটি আমাদের নয়, এটা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন। ২৮ অক্টোবর আন্দোলন সফল না হলে, নির্বাচনটি করতে হত, এবং তাতে বাংলাদেশ নতুন এক সংকটে পড়ত। এই কমিটমেন্টের জায়গা থেকে, আমি বুঝতে পারছিলাম যে দেশের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমাকে বিশ্বাস করেছিল।"
নুর আরও বলেন, "যখন পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে, তখন লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন আমি দেখলাম, কালভাট রোডে এবং পল্টনসহ অন্যান্য এলাকায় বিশাল জনসমাগম ছিল। আমি সেই সময় জনগণকে রাজপথে থাকার জন্য আহ্বান জানাই।"
তিনি জানান, "নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কিছু দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তবে পরে আলোচনার মধ্যে আমরা বুঝতে পারলাম যে আমাদের আন্দোলনের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।"
নুর বলেন, "তখন বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে নির্বাচন থেকে দূরে থাকব। আমরা জানতাম যে, যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, তবে আমাদের মানুষের প্রতি যে বিশ্বাস ও সম্মান আছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশ নতুন সংকটে পড়বে।"
তিনি আরও বলেন, "এছাড়া, যদি নির্বাচনে অংশ নিতাম, তাহলে আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হতো এবং ফলস্বরূপ ফ্যাসিবাদের কবলে দেশ পড়তো।"
নুর শেষমেশ জানান, "আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে নির্বাচনে যাব না এবং আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সেই সময় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথাও ছিল এবং আমরা একসাথে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম।"