
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান আরিফ বলেছেন, ‘হাসনাত ছেলেটার কিছুই হবে না আসলে। ওর যেটা দরকার ছিল (অ্যাটেনশন), সেটা পেয়ে গেছে।’ সাম্পতি নিজের ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এসব কথা বলার পাশাপাশি তার জামা-জুতা নিয়েও বিদ্রুপ করেছেন তিনি। ছাত্রদল নেতার এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ফারহান আরিফ তার পোস্টে আরো লেখেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র এতোটাও আ...ল না যে, আপনারা যে আশঙ্কা করছেন সেটা ঘটাবে। আর বাকি রইলো আর্থিক ব্যাপার-স্যাপার। ওগুলোর জন্য সংবাদপত্রের সার্টিফিকেটের দরকার নেই; চেহারা আর জামা-জুতার দিকে তাকালেই বুঝবেন।’
এর জবাবে হাসনাত তার পোস্টের কমেন্ট করেছেন, ‘ভাই, আপনাদের দেড় দশকেরও বেশি সময়ের স্ট্রাগলকে সম্মান জানাই। এবার আসেন- আমার আর্থিক সাউন্ডনেস নিয়ে আপনি আলাপ দিলেন। কোথাও দুর্নীতি করলে সেটার নিশ্চয়ই নথি, ভিডিও, অডিও, কিংবা কোনো ব্যক্তি নিজে সাক্ষ্য দেবেন।’
হাসনাত বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে- আমি কিংবা আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা যেকোনো দুর্নীতি যদি প্রমাণসহ থাকে, তাহলে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করুন, প্রয়োজনে মামলা করুন।’
তিনি আরো লেখেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে, সেটা যদি ১ টাকার দুর্নীতিও হয়, আমি সর্বোচ্চ দায় স্বীকার করতে প্রস্তুত। সবশেষে- চেহারা আর জামা জুতার খোটা দিলেন। হাসনাত আবদুল্লাহ ১৭ সাল থেকেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। পাঁচ অগাস্টের পর ইনকাম বাড়েনি, বরং কমেছে।’