
বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির হাতে দেশে যত সংস্কার হয়েছে তা কারো হাত দিয়ে হয় নাই।
তিনি বলেন, ১৭ বছর জনগণ আন্দোলন সংগ্রাম করেছে ভোটের অধিকারের জন্য। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার জন্য। অথচ রক্তের বিনিময়ে পতিত স্বৈরশাসকের বিদায় হলেও ভোট নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।
মঙ্গলবার বিকালে পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় আলোচনা ও ইফতার মাহফিল হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিএনপির ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে, খুন করেছে, সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিয়েছে। জিয়া পরিবারের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন করেছে। যেই হাসিনার কারণে আমাদের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়েছিল, যে হাসিনার কারণে দেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে বিএনপি।
তিনি বলেন, দেশে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রহীনতার জন্য। আর গণতন্ত্রের মূল শর্ত হচ্ছে ভোটাধিকার। আজকে সংবিধানকে যারা মুছে ফেলতে চায় তারা সফল হবে না। আদর্শিক রাজনীতির চর্চা করতে হবে। কোনো ধরনের অনৈক্য বা ভেদাভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর সাথে যুক্ত হয়েছে একশ্রেণির মিডিয়া। শেখ হাসিনার দোসররা সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান। দেশকে অগ্রসর করার ক্ষেত্রে এই দোসররাই অন্তরায়।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। দল যাকে মনোনয়ন দেয় তার সাথে সবাইকে কাজ করতে হবে। পরাজিত শক্তি দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করছে তা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন বলেন, ধানের শীষ যার আমরা তার। ধানের শীষ ঐক্যের প্রতীক। আগামীতে দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে ধানের শীষকে জয়যুক্ত করতে হবে। আর এজন্য জনগণের কাছে যেতে হবে, তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হবে। তিনি সদ্য প্রয়াত পৌরসভার বিএনপির আহবায়ক রিপন তালুকদারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট আবু তাহের, সদস্য সচিব আলমগীর হোসাইন ঠাকুর, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক দিদারুল আলম, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল ওয়াহাব কবির, গাজী হানিফ, মাইনউদ্দীন, নাজিম উদ্দিন কমিশনার, কাউছার আহমেদ চেয়ারম্যান, নসরুল কবীর মনির তালুকদার, কাউছার আহমেদ, সাইফুর রহমান শামীম, মো. মাইন উদ্দীন, আকতার হোসেন, নাজিম উদ্দীন, মাহবুবুল আলম শিমুল প্রমুখ।