
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য শর্ত পূরণ ও দল গোছানোর কাজ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ইসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই আবেদন করবে দলটি। দলের প্রতীক নির্ধারণের আলোচনাও শেষ পর্যায়ে। খোঁজা হচ্ছে কেন্দ্রীয় অফিস। ঈদের পরই নতুন অফিসে কার্যক্রম শুরু করবে এনসিপি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের অগ্রভাগে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তরুণ নেতৃত্বে নতুন রাজনীতির আকাঙ্ক্ষায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরই মধ্যে গঠন হয়েছে দলের ২৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি।
নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দল নিবন্ধনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে পুরোদমে ব্যস্ত এনসিপি। সেই লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির থানায় পর্যায়ে ৪৫০ কমিটি শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে মূল দলের সঙ্গে।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘নিবন্ধন পেতে গেলে যে ধরনের শর্তগুলো আসলে আমাদের পূরণ করতে হবে, এ তৃতীয়াংশ জেলায় আমাদের কার্যালয় স্থাপন করতে হবে। অন্তত ১০০টি থানায় আমাদের নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ভোটার যারা আছেন তাদের নিবন্ধিত করতে হবে। এই জায়গাগুলোতে আমরা কাজ শুরু করব।’
রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ইফতার আয়োজনসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে সরব থাকছে দলটি। দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম, বাঘ, সূর্যসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব বিবেচনায়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আরশাদুল হক বলেন, ‘আমরা একটা জরিপ চালিয়েছিলাম, অনেকগুলো মার্কা সামনে এসেছে। খুব দ্রুতই আমরা একটা ফাইনাল করে ফেলব। মার্কাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা নিজেরা একটা যাচাই বাছাই ও বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছি আসলে।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে ভালো করতে হলে সরাসরি মানুষের কাছে যেতে হবে। সেই সঙ্গে দোষারোপের রাজনীতি থেকে বের হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকারটা যদি নিশ্চিত করতে পারে, তাদের দলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে তো এর গ্রহণযোগ্যতা সম্প্রসারিত হবে।’
দলে যুব, কৃষক ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনও রাখার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।