
কিছু লোভী রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার আন্তরিক হলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব।
বিএনপি নেতাদের দাবি, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের দোসররা দেশ নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার মাস দুয়েক পর থেকেই আলোচনায় জাতীয় নির্বাচন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলেও ভোট নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিচ্ছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য।
কর্মশালায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস জানান, জনপ্রিয়তা নেই এমন দলও যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। ভোট নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের অযাচিত মন্তব্য না করার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা বুকের তাজা রক্ত রাজপথে বিলিয়ে দিয়েছি, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য। আজকে ভোটের অধিকার যখন আসলো এখন বলেন, এটা না করলে ভোট হবে না, ওইটা না করলে ভোট হবে না। কেনরে ভাই? কেন? আপনি বুকে হাত দিয়ে বলেন, যারা লম্বা লম্বা কথা বলেন, আজকে করতে দেওয়া হবে না, করতে দেওয়া যাবে না। আরে ভাই, আওয়ামী লীগ তো এটাকে বাপের তালুক ভাবছিল। যার কারণে যা খুশি তাই বলছে। আপনারাও কি তাই ভাবেন? কথা বলার সময় হিসেব করে বলবেন, যাতে আমাদের বেহিসেবি কথা বলতে না হয়।’
এদিকে, রাজধানীর বারিধারায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, নিজেদের মধ্যে ঐক্য নষ্ট হলে সুবিধা পাবে স্বৈরাচারের দোসররা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এই দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদী কালচার, ফ্যাসিবাদী প্রচারণা, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা বন্ধ হয়নি। আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যকে যদি জাতীয় জীবনে শক্তিতে রূপান্তর করে এ জাতিকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা কামেয়াব হবো।’
দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্য ধরে রাখতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান বিএনপি নেতারা।