
সরকারের উপদেষ্টা ফেসবুকে এত বকবক করেন কেমনে? এত সময় কেমনে পান, বুঝতে পারি না। ক্ষুদ্র এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আমিই তো পরিবারকেও সময় দিতে পারি না। সম্মানিত ভাই, ক্ষমতার একটা নিজস্ব চোট আছে। এই চোট সামলে নিতে হয়। তরুণ বয়সে অনেক বড়ো কাজের আঞ্জাম দিয়েছেন, পা সাবধানে চালাতে হবে। আপনারা প্রাপ্তির সুপ্রিম পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন প্রথম ধাক্কাতেই। আর বেশি কিছু প্রাপ্তির খাতায় কিছু যুক্ত হবে না, কেবল হারাতেই থাকবেন৷
দেখুন—যতটা পারেন, প্রাপ্তিটা ধরে রাখুন। ছোট্ট একটা লোকাল গভর্মেন্টের প্রধান হিসেবে নিজেকে আড়ষ্ট রাখার চেষ্টা করি। প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত 'দায়িত্বশীলতা'র ভূমিকা নিতে হয়। কত কি মনে আসে! বলতে ইচ্ছে করে, লিখতে উসখুস করে। সামলে নিই কষ্ট করে৷ আর আপনারা অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের উপদেষ্টা। সংসদ নাই, এমপি নাই, বিরোধী দল নাই; আপনারা একচ্ছত্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক। ক্রান্তিকালীন সময়ে দেশের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। যে শপথ নিয়েছেন, তা অনেক ভারি ব্রাদার! এত কথা বলেন কেন ভাই? কথা বললে ভুল হয়, জানেন তো। আট মাসে দাঁড়িয়ে এখনো বলেন—দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে৷
বুঝতে পারছেন, আপনি কী বলছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাংশন করছে নিজেরাই বলছেন। লজ্জা করে না এসব বলতে? কী ঘাস কাটছেন? উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বশীল হন, বিনয়ী হন। মন চাইলেই সব লিখবেন না। হাত নিশপিশ করলেই সোস্যাল মিডিয়াতে টাইপ শুরু করবেন না। একাডেমিক তত্ত্বকথা আর রাষ্ট্র পরিচালনার ফারাক তো এতদিনে অন্তত বুঝার কথা। কাজ করেন ভাইসব, কাজ করেন৷। পারলে সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে যান৷