Image description
একক নির্বাচন করলে সব আসনে প্রার্থী; চূড়ান্ত হচ্ছে তালিকা। দুই আসন থেকে লড়তে পারেন নাহিদ কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন, তা অনেকটাই পরিষ্কার হচ্ছে আসনভিত্তিক ভালো অবস্থান হলে জোটবদ্ধ নির্বাচন করলেও দরকষাকষিতে সুবিধা তৃণমূলে সংযোগ বাড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরেও থাকবেন অনেক যোগ্য প্রার্থী।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠপর্যায়ে তৎপরতা শুরু করেছেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে দল গঠনের আগেই নিজ নিজ আসনে অঘোষিতভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন তারা। দলের আহ্বায়ক জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান মুখ নাহিদ ইসলাম ঢাকার হেভিওয়েট দুটি আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ দুটি আসন হলো—খিলগাঁও-সবুজবাগ ও মুগদা থানাধীন এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ এবং রামপুরা-বাড্ডা ও ভাটারা থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১। সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রার্থী হতে পারেন নিজ এলাকা রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসনে। এ ছাড়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দলের প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) অথবা ঢাকা-১৮ (উত্তরার একাংশ-ক্যান্টনমেন্টের একাংশ-গুলশানের একাংশ), সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা-১ (সদর), সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বরিশাল-৫ (সদর) অথবা ঢাকা-১৪ (মিরপুর-সাভারের একাংশ), মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার), মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ (সদর-তেঁতুলিয়া-আটোয়ারী), যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। একইভাবে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বেশিরভাগ নেতাই নিজ নিজ আসন কেন্দ্র করে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এনসিপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, নবগঠিত দলটি জোটবদ্ধ না এককভাবে নির্বাচন করবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সবই রয়েছে আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে। তবে ভোটের প্রস্তুতিতে কেউ পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না। এনসিপি নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নেবে, না ৩০০ আসনে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে— সেটা পরের বিষয়। এখন মূলত নিজ নিজ এলাকায় মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছেন এনসিপির নেতারা। সব আসনেই তারা যোগ্য প্রার্থী দিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে চান। দলের নেতারা নিজ নিজ সংসদীয় আসন এলাকায় শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারলে জোটবদ্ধ নির্বাচনকালে আসন নিয়ে দরকষাকষিতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই আসনভিত্তিক মজবুত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এনসিপি। এরই মধ্যে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় এলাকায় নেতাকর্মীদের টিম গঠন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মীবাহিনী গঠনসহ নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, রমজান মাসের মধ্যেই নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শেষ করতে চায় এনসিপি। পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের পরিকল্পনাও সাজাচ্ছে দেশের রাজনীতিতে নবাগত দলটি। বিভিন্ন সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজ সংসদীয় আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাড়াচ্ছেন যোগাযোগ। বিভিন্ন আসনে বিএনপি-জামায়াতের হেভিওয়েট প্রার্থীদেরও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত তারা কতটা সফল হবেন, সেটিই দেখার বিষয়।

এনসিপি সূত্রে জানা যায়, প্রকাশ্যে দলটিতে নির্বাচন আলাপ না থাকলেও নেতাকর্মীরা নিজ নিজ সংসদীয় আসনে দৌড়ঝাঁপ করছেন। অনেকেই নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে পেয়েছেন সবুজ সংকেত। নেতাদের অনেকেই নিজ এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন, জনসাধারণ এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। যারা যেতে পারছেন না রাজনৈতিক ব্যস্ততার মধ্যেও যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলে। বিশেষ করে জনগণের মধ্যে ইফতার ও রোজার উপহার বিতরণ, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের নির্বাচনের প্রস্তুতির আগাম বার্তা পোঁছে দিচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী জোট কিংবা আসন সমঝোতার বিষয়টি আপাতত মাথায় না রেখে ৩০০ আসনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সম্ভাব্য আসন এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে। তাদের কেউ কেউ ঢাকায় কিংবা দুটি আসন থেকে নির্বাচন করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে নির্বাচনী জোট হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে না দিলেও এককভাবে নিজেদের শক্ত অবস্থান দেখাতে চায় দলটি। ঈদের পর জেলা এবং বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সাংগঠনিক ও নির্বাচনী মাঠ পোক্ত করা শুরু করবে দলটি। সে সময় সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও পরিচয় করিয়ে দিতে পারে দলটি। এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় নেতাদের কে কোন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন আসনের একটি চিত্র পেয়েছে কালবেলা। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী—এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম রাজধানীর দুটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। আসনগুলো হলো ঢাকা-৯ ও ঢাকা-১১। শুরুতে আলোচনা সভা, ইফতার পার্টির মতো ছোট কর্মসূচি দিয়ে তারা এগোতে চাইছে।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন নিজ এলাকা রংপুর-৪ থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তিনি এলাকায় বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছেন। এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চাঁদপুর-৫ কিংবা ঢাকা-১৮ থেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা-১, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বরিশাল-৫ কিংবা ঢাকা-১৪, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬ থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে হাসনাত, সারজিস এবং আব্দুল হান্নান নিজ নিজ এলাকায় এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির নিজের জন্মস্থান কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে নির্বাচন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রায় নিয়মিতই এসব এলাকায় গণসংযোগসহ নানা ধরনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন তরুণ-যুবকদের সংগঠিত করতে। যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার টাঙ্গাইল-৩, আলী নাছের খান গাজীপুর-৪, আবু সাঈদ লিয়ন নীলফামারী-৪, আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) অথবা ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে ভোটারদের মতামত জানার জন্যে ছোট ছোট কর্মসূচিও করছেন। যুগ্ম সদস্য সচিব হাফেজ আকরাম হোসাইন ঢাকা-১৩ আসনে নির্বাচন করার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই আকরাম হোসাইন শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষদের নিয়ে কাজ করেছেন।

এদিকে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন কি না, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা যদি পদত্যাগ করে দলে আসেন সেক্ষেত্রে মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ এবং আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ থেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে। অন্যদের মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার নরসিংদী ১ অথবা ২ থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সেখানে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী যথাক্রমে খায়রুল কবীর খোকন এবং আব্দুল মঈন খান থাকায় ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তাকে। এ ছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রাম-১, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ঢাকা-১৭, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জ-৪, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান চুয়াডাঙ্গা-১, মাহিন সরকার সিরাজগঞ্জ-৫, অলিক মৃ টাঙ্গাইল-১, নাজমুল হাসান সোহাগ গাইবান্ধা-৩, গোলাম মর্তুজা সেলিম ঠাকুরগাঁও-৩, মামুন আব্দুল্লাহ তুষার সাতক্ষীরা-৩ থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে এনসিপির নেতারা কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

এনসিপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনী জোট বা আসন সমঝোতা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। নির্বাচনী জোট হতে পারে; তবে সেটিতে মুখ্য ভূমিকায় থাকবে জাতীয় নাগরিক পার্টি। রোজায় ইফতার পার্টি এবং ঈদের পর থেকে পুরোদমে তৃণমূলে কাজ করবেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যেসব আসনে বিএনপি-জামায়াতের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে তাদেরও চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানান তারা। জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত কালবেলাকে বলেন, ‘পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন আমাদের একমাত্র কাজ। পুরো বাংলাদেশে পার্টির সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক তৈরির পাশাপাশি সব নাগরিকের কাছে পার্টির আদর্শ তুলে ধরা ও দলকে পরিচিত করা বা দলের চরিত্র তুলে ধারাই এখনকার কর্তব্য। জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান কালবেলাকে বলেন, ‘দলের বার্তা পৌঁছে দিতে নেতাকর্মী তৃণমূলে যাচ্ছেন, যাবেন। সাংগঠনিক বিস্তৃতির পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে এনসিপির বার্তাটাও জনগণের মাঝে পৌঁছে দেবেন নেতারা। এর মধ্য দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ চলছে। নেতারা যে যার যার সংসদীয় আসনে শক্ত অবস্থান তৈরিতে কাজ করছেন।’

কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় সদস্যরা কেউ ঢাকায় বসে থাকবেন না। সবাই সারা দেশ চষে বেড়াবেন। এরই মধ্যে সেই কাজটি শুরু হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা তৃণমূলে সময় দিচ্ছেন। মানুষের কথা শুনছেন। ঈদ উপলক্ষে সবাই নিজ নিজ এলাকায় যাবেন।’ তুষার আরও বলেন, ‘দলীয়ভাবে আমাদের এখনো প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়নি। সম্ভাব্যতা অনুযায়ী অনেকে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন, কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে থেকেও নতুন প্রার্থী থাকবে। তারাও শক্তিশালী প্রার্থী হবেন। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন কালবেলাকে বলেন, মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকাই তো রাজনীতি। জাতীয় নাগরিক পার্টির জন্মই তো মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এবং তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে। নির্বাচনের বিষয়ে পার্টি যে সিদ্ধান্ত দেবে, তাই। তবে আমরা মানুষের পাশে আরও নিবিড়ভাবে যাচ্ছি। মানুষ যেন ভরসা পায়, নাগরিক পার্টি মানুষকে ছেড়ে যেতে আসেনি। পাশে থাকার জন্যেই এসেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের রাজনীতি। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে। ঠিক ওই অবস্থায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির। দলটির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য দলগুলোর হিসাবনিকাশ অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মুখ্য সমন্বয়কসহ সবাই নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচি পালন করছেন। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ভূমিকা এবং তারা কত আসন পায়, তাদের ভোট সংখ্যা কী হয়—এসব নিয়ে রাজনীতিতে রয়েছে নানা কৌতূহল। চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ।