Image description

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতন হয়েছে ছয় মাস হলো। ছয় মাস ফের নতুন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সামনে আনা হয়েছে। ছয় মাস আগেও এমন দাবি কোনো কোনো মহলের বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ওই দাবি নিয়ে রাজনীতিতে চলছে নানা আলোচনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন মাঠে নেমেছে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে।

কিছু দিন ধরে এ দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হতে দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। 

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবির বিরোধিতা করে আসছে। বিভিন্ন সময় বিএনপির এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারও নিষিদ্ধের চেয়ে বরং দলটির নেতা-কর্মীদের বিচার করতে আগ্রহী ছিল। বিভিন্ন সময় উপদেষ্টাদের বক্তব্যে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।

এখন সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরব হওয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া- এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে নতুন করে নিষিদ্ধের দাবি সামনে আনা হয়েছে। এমন যুক্তি দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো থেকে।

কিন্তু আসলে কেন এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছে?

আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিএনপির অবস্থানই বা কী-এসব প্রশ্ন আলোচনায় আসছে। বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছেন, দলটিকে নিষিদ্ধ করা না করার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।

যদিও বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাইয়ে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যার বিচার দাবি কছে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে অন্যদের মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হলে, তখন সরকারের জন্য তা বাস্তবায়ন সহজ হবে।

দাবির পেছনে যত যুক্তি

ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার ডিজিটাল মাধ্যমে সরব হওয়ার মধ্যেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরসহ দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাদের স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এরপর গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুর ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সদস্য আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তার মৃত্যু হয়। এরপর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আবার সোচ্চার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন।

ফেসবুকে দেওয়া সর্বশেষ পোস্টেও হাসনাত আব্দুল্লাহ জুলাইয়ের গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। ইংরেজিতে লেখা এই পোস্টে তিনি এখনই আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও একটি আবেদনে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানান।

হাসনাত লিখেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র জুলাই মাসে চৌদ্দশ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে, চুপ ছিলেন সাংবাদিকেরা। এখনই আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবিতে এই আবেদনে স্বাক্ষর করে ছড়িয়ে দিন।’

গাজীপুরে হামলায় আহত কাশেমের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন,  ‘প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ আমার এই ভাই। ইন্টেরিম (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।’

একইসাথে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে গত বুধবার দেশব্যাপী কফিন মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন। আওয়ামী লীগের গত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে গুম, নির্বিচারে গ্রেপ্তারসহ নানা অভিযোগ ছিল।

এর মধ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের যে গোপন জায়গায় বন্দি রাখা হতো, বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কয়েকজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে আয়নাঘর নামে পরিচিত এরকম কয়েকটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন।

এসব গুমের প্রতিশোধ চেয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, ‘হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, না হয় আমরা থাকবো।’

তবে, এ বিষয়ে কথা বলতে হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের দাবি, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক নয় বরং সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ড করেছে। সর্বশেষ ২০২৪ এ গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে।’

এ কারণেই দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোচ্চার হয়েছে বলে জানান মাসউদ। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ কয়েকটি অনলাইন মিটিং এর যে কল রেকর্ড এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিবে না এরকম নির্দেশ দিচ্ছে।’

‘সর্বশেষ গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে ফাঁদে ফেলে তাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের মধ্যে একজন শহীদ হয়েছে। এর ফলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের জোর দাবি রয়েছে এবং এটা থাকবে—যোগ করেন তিনি। 

এই সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘আমরা চাই, অতি দ্রুত বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক এবং তাদের সকল অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। বিচারের আগ পর্যন্ত যেন তারা কোন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে।’

মাসউদ বলেন, ‘দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে আগে থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোচ্চার হলেও গাজীপুরে কাশেমকে হত্যার ঘটনায় তারা (আওয়ামী লীগ) আবারও আমাদেরকে রাস্তায় কঠিনভাবে নামতে বাধ্য করেছে।’

বিএনপি যা বলছে

আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিএনপি মনে করে, কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করা যায় না। তবে আওয়ামী লীগের নেতাদের অপরাধের বিচার আদালতের মাধ্যমে আইনি উপায়েই হতে হবে বলে বলছেন বিএনপির নেতারা।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘পলিটিক্যাল পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয় না। কারণ নিষিদ্ধ না করলেও অনেক পার্টি বিলীন হয়ে যায়। মুসলিম লীগ আজো নিষিদ্ধ হয় নি, কিন্তু পার্টিটা বিলীন হয়ে গেছে। এরকম আরও অনেক পার্টি আছে। যারা আস্তে আস্তে ছোট হয়ে গেছে।’

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন পার্টিকে সমর্থন করবে আর কোন পার্টিকে করবে না।’

জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘জামায়াত কি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে? হয় নাই তো। জামায়াতের-তো ভাবসাব ক্ষমতায় আইসা গেছে। আরেকটা রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার অধিকার কে দিয়েছে তাদেরকে?’

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি অভিযোগ করেন, দল নিষিদ্ধের দাবি করা নেতারা মূলত ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী তো আসলে এদের মেক্সিমাম (বেশিরভাগ) শিবির। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যারা করেছে, অগ্রভাগে তারাই আছে। এর বাইরে বাংলাদেশের আর যারা আন্দোলন করেছে, তারা এটা নিয়ে কোন মাতামাতি করছে না।’

জামায়াত-শিবিরের জন্যই সংগঠন নিষিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এখন তাদের সুবিধার্থে আওয়ামী লীগ ব্যানড করে দিব, ওইটা ব্যানড করে দিবো, এটা মামার বাড়ির আব্দার নাকি?’

বিএনপির এই নেতা বলছেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ, জনগণ ক্ষুব্ধ। এর দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি আমরা চাই। সেটা আইনের মাধ্যমেই হবে, এটা চাই। সংগঠন নিষিদ্ধ করে নয়। কারণ নিষিদ্ধ করলে গোপনে তৎপরতা চালাবে। বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’

সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই সংগঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

তবে, বিএনপির এই অবস্থানের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘বিএনপি এই প্রশ্নে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তারা দেশের মানুষের কল্যাণ নিয়ে ভাবছে না।’

বিএনপি ভিন্ন অবস্থান নিলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান মাসউদ।

দল নিষিদ্ধের বিধান কী আছে

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গত সাতই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হচ্ছে যা ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন আসিফ মাহমুদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যে কোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯’ অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন সংগঠনকে নিষিদ্ধ কতে পারে। এই আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সর্বশেষ এই আইনেই গত বছরের ২৩শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃ প্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে গত বছরের পহেলা অগাস্ট এই আইনেই ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বাসসের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনও দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা বলে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয় ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যে কোনও ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।’

এদিকে, গতকাল বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে রাজনৈতিক দলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।