Image description
 

সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ বলেন, হাতিয়া দ্বীপ একটি চর, যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে একদল জলদস্যু শাসন ও শোষণ চালিয়ে আসছে। তারা নির্যাতন করেছে, শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে আমি গত কয়েক মাস ধরে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের বারবার অনুরোধ করেছি সেখানে একটি অস্ত্র অভিযান চালানোর জন্য। কিন্তু তারা কোন অস্ত্র অভিযান চালায় নাই।

আজ শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করলে, যখন তারা সাবেক এমপির বাসভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাদের ওপর লেজার লাইট ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয় এবং গুলি চালানো হয়।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার বাসায় কোনো অভিযান চালানো হয়নি। অথচ সামরিক বাহিনীর ক্যাম্পটি সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে মাত্র তিন মিনিটের হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত।

 

সন্ত্রাসীদের কাছে যদি ৩০-৩৫টি গুলি থাকে, তাহলে পুরো হাতিয়ায় কত সংখ্যক গুলি মজুদ রয়েছে? সারা দেশে কত পরিমাণ অস্ত্র ছড়িয়ে রয়েছে? তারা এই অস্ত্র দিয়ে ছয় মাস পরে হলেও শিক্ষার্থীদের গুলি করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, সামরিক বাহিনীকে কেন ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে? কেন ২,০০০ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে লড়াই করলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নামক এক অপদার্থ এখনো তার চেয়ারে বসে আছে?

যদি ছয় মাসেও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাচ্ছে?