Image description
 

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ এবং সেই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতার যুক্ত হওয়ার পরই শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এবার জোর পেয়েছে সেই আলোচনা। কবে আসছে সেই নতুন দল, নেতৃত্বে থাকছেন কারা, ছাত্র উপদেষ্টারা কি পদত্যাগ করছেন- এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে চলা আলোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন কবে প্রকাশ্যে আসছে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলটি ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন, যদিও এখনো দলটির নাম চুড়ান্ত হয়নি।

ছাত্র উপদেষ্টাদের কেউ পদত্যাগ করে নতুন দলের হাল ধরতে পারেন এমন আলোচনাও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলছেন, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা নেননি। এখন তারা বোঝার চেষ্টা করছেন কোথায় তাদের ভূমিকাটা সবচেয়ে বেশি হবে—সরকারের ভেতরে, বাইরে নাকি মাঠে।

রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, “৫ আগস্টের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের ব্যানারে সক্রিয় হয়েছে। তাদের কর্মীরা নিজ নিজ ব্যানারে চলে গেছেন। কিন্তু যাদের কোনো দল নেই, তাদের মধ্যেও একধরনের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা আছে। নেতৃত্ব বা রাষ্ট্র গঠনে তারাও ভূমিকা রাখতে চান। এই শক্তিটাকে সংহত করার জন্য একটা রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।”

গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকেই এ ধরনের একটা আলাপ ছিল বলেও উল্লেখ করেন নাহিদ। বলেন, “সেই সময় আমরা ভেবেছি রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে সংহত করা প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে এসেছি। আমাদের কিছু অঙ্গীকার আছে। সেটা বাস্তবায়ন করে সরকার ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সেই বিষয়টা এখন পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে।”

 

সূত্র: প্রথম আলোর বিশেষ সাক্ষাৎকার

 

(ঢাকাটাইমস