একটি বাংলা দৈনিক থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। উদ্ধৃতিটি নিম্নরূপ, 'অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দুর্নীতিতে আমরা এত বেশি লিপ্ত যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আইনের দুর্বলতা, তথ্য ও সাক্ষীর অভাবে দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যায়। দুর্নীতির পরিধি ব্যাপক। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছি। এই সংসদের কোনো সদস্যের সঙ্গে দ্বিমত করতে পারবেন না। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আইনের দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা যাঁরা আইন করি, নিজেদের জন্য আইনে ফাঁকফোকর রেখেই তা করি। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি করেন। কিন্তু তাঁদের কোনো শাস্তি হয় না। শাস্তি হয় কেরানির। দুর্নীতির দায়ে ১৯৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুজন সরকারি কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে।' (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। এটি কোনো সেমিনার, সম্মেলন কিংবা পথসভায় মাননীয় মন্ত্রীর তাৎক্ষণিক অভিব্যক্তি নয়; এটি পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তরকালে তাঁর সচেতন অনুধাবনপ্রসূত সতর্ক জবাবের অংশবিশেষ। আমার মনে হয়, জনাব মুহিত অন্তর্জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছেন, সে জ্বালার তাড়নায় মাঝেমধ্যেই তিনি সত্য কথা বলে ফেলেন। তাঁর দলে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে তা বিবেচনায় বড় একটা আনেন না। এ জন্য তাঁকে কখনো কখনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
দুর্নীতির করাল গ্রাসে সবদিক অন্ধকার আমরা কি ডুবতে বসেছি?
বলার অপেক্ষা রাখে না যে দেশের সর্বত্র এখন দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। হাতুড়ে ডাক্তার থেকে শুরু করে ট্রাকের ড্রাইভার, ফলবিক্রেতা, তহশিলদার, এসি ল্যান্ড, ছোট-বড় পুলিশ কর্মকর্তা, বিমানের পাইলট, নির্বাচিত নির্বাহী, মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী- সবাই যেন এক মারাত্মক আনন্দে এ খেলায় মেতে উঠেছেন। জনগণের শেষ ভরসা হচ্ছে বিচারালয়। কয়েকজন বিচারককেও আমরা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হতে দেখেছি। আমরা যেন গড়িয়ে গড়িয়ে অধঃপতনের প্রায় নিম্নতম অবস্থানে চলে এসেছি। 'সম্পত্তি হস্তান্তরের' সেই বালক গোলকপালের সামনে থেকে তার দাদা যজ্ঞনাথ মই তুলে নেওয়ার পর সে যেভাবে আর্তনাদ করে দাদা-দাদা বলে চিৎকার করে উঠেছিল, আমাদেরও বুঝি তেমনিভাবে অসহায় আর্তনাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
স্কুলজীবনের পুরোটাই আমার নোয়াখালী শহরে কেটেছে। শহরের লইয়ার্স কলোনি নামক আবাসিক এলাকায় আমরা বাস করতাম। এখানে উকিল-মোক্তারদের সঙ্গে বিভিন্ন কোর্টকাচারির পেশকার, সেরেস্তাদার, অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, নাজির পর্যায়ের ননগেজেটেড কর্মকর্তারাও বাস করতেন। জেলা সদর হলেও এটি ছিল একটি ছোট্ট শহর। অফিসপাড়ার গল্প কাহিনী ও উপসংস্কৃতি (sub-culture) সম্পর্কে আমাদের একটা সাধারণ ধারণা হয়েছিল। সে ধারণা থেকে আমরা এটুকু বুঝেছিলাম যে অফিস-আদালতে কিছু কর্মচারী-কর্মকর্তা ঘুষ খায়। তাদের ঘুষখোর বা দুর্নীতিবাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এক কথায় দুর্নীতি বলতে আমরা তখন ঘুষ খাওয়াকেই বুঝতাম। এ ধরনের দুর্নীতিবাজের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত নগণ্য। তাদের সবাই চিনত ও খুব খারাপ চোখে দেখত। তারা মূলত কর্মচারী পর্যায়ের ব্যক্তি ছিল। জেলায় কোনো পদস্থ কর্মকর্তা ঘুষখোর বা দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন না। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে কতিপয় নেতা ও পদস্থ কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হয়। বড় রকমের দুর্নীতির কথা এই আমরা প্রথম শুনতে পাই। এর সত্য-মিথ্যা বুঝে ওঠার বয়স তখন আমাদের হয়নি। আমরা সরল মনে বিশ্বাস করি যে তারা দুর্নীতি করেছেন, অর্থাৎ বড় রকমের ঘুষ খেয়েছেন।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে অফিস-আদালত, কোর্ট-কাচারির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সরকার বলতে বস্তুত মোনায়েম খান, বঙ্গভবনের মোনায়েম খানের সাঙ্গপাঙ্গকেই আমরা বুঝতাম। দুর্নীতি বলতে তাদের জুলুম-অত্যাচার ও টাকা বানানোর গল্প আমাদের চোখে ভেসে উঠত। সরকার সমর্থক ছাত্রদল এনএসএফের গুণ্ডাদেরও আমরা দুর্নীতিবাজ হিসেবে অভিহিত করতাম না। তারা সরকারের সমর্থন নিয়ে বড় রকমের টাকাপয়সা রোজগার করছে- এমন অভিযোগও আমরা শুনিনি। এক কথায় দুর্নীতি ও টাকাপয়সা বানানো তখন আলাপ-আলোচনার বিষয় ছিল না। মনে হয়, সরকারি পর্যায়ের কতিপয় হোমরাচোমরার মধ্যেই দুর্নীতি তখন সীমিত ছিল।
দুর্নীতির বিষয়টি বিশাল গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে লাহোর সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে আমাদের প্রশিক্ষণকালীন। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর অথবা '৭০-এর জানুয়ারি মাসে সারা পাকিস্তানের ৩০৩ জন পদস্থ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার তালিকা (Three Naught Three) প্রকাশিত হয়। তালিকাভুক্ত পূর্ব পাকিস্তানি অফিসারদের অনেকেই নিজেদের আন্তপ্রদেশ বৈষম্যজনিত প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করলেও পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসাররা সাধারণ্যে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়। তারা প্রায় সবাই সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অথবা সরাসরি ঘুষের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। দুর্নীতির বিভিন্ন রং-রূপ ও দেশের জন্য এটি যে ভয়ংকর ক্ষতিকর, সে সম্পর্কে আমাদের মনে একটি স্পষ্ট ধারণা গড়ে ওঠে।
নিজ প্রদেশ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে ফেরার কয়েক মাসের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দুর্নীতির বিষয়টি এ সময় চাপা পড়ে যায়। স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে বিষয়টি আবার আলোচনায় চলে আসে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্বাসনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও পণ্য সাহায্য আসে তার বিলিবণ্টনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ চাউর হয়ে পড়ে। সরকারের প্রধান নির্বাহীকেও এ ব্যাপারে হতাশার সুরে প্রকাশ্যে জনসভায় অভিযোগ তুলতে শোনা যায়। মাঝেমধ্যে অভিযোগের প্রকোপ কমে গেলেও উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বা উচ্চপর্যায়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আশকারা পেলে দুষ্ট ক্ষতের মতো এ আপদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যতই দিন যাচ্ছে দুর্নীতির সমস্যা ততই তীব্র, ব্যাপ্ত ও জটিল হয়ে পড়ছে।
সমস্যার শুরু হয় উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ-পদায়ন থেকে। সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণের প্রচেষ্টা গ্রহণ না করা হয়ে থাকলেও সচেতন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমার ধারণা জন্মেছে যে কোনো সংগঠনে শীর্ষপর্যায়ের চার স্তরে যদি দুর্নীতিমুক্ত নির্বাহী থাকেন ও তাঁদের একাংশও যদি দুর্নীতি দমনে দৃঢ় সংকল্প হন, তবে সে সংগঠনে দুর্নীতি প্রান্তিক পর্যায়ে নেমে আসে। সরকারের জন্যও এটি সত্য। এর কার্যার্থক ব্যাখ্যা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব ও যুগ্ম সচিব যদি দুর্নীতিমুক্ত থেকে দুর্নীতি নিরসনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, তবে সরকারি সংগঠন, এমনকি অন্যান্য সংগঠনেও দুর্নীতি নগণ্য পর্যায়ে নেমে আসবে।
শীর্ষ চার স্তরে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত লোকের সমাহার ঘটানো একটি দুঃসাধ্য ব্যাপার। আমেরিকার একজন রাষ্ট্রনায়ক বলেছিলেন যে তাঁর জীবনে যেসব কঠিন কাজ সম্পন্ন করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে দুঃসাধ্য কাজ ছিল বিভিন্ন পদে সঠিক লোকের পদায়ন। এ কাজে কিছুটা গবেষণাধর্মী মনের প্রয়োজন হয়, বহু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংকলন ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। শীর্ষ চার স্তরে যদি সৎ, দক্ষ ও দুর্নীতি নিরসনে বদ্ধপরিকর ব্যক্তিকে পদায়ন করা যায় তবে শাসনযন্ত্রে দুর্নীতি বাসা বাঁধতে পারে না। এ ধরনের লোক বাছাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এতে অপরিসীম ধৈর্য, একাগ্রতা ও মানসিক সপ্রতিভার আবশ্যকতা রয়েছে। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা, স্বার্থকেন্দ্রিক গোষ্ঠী বিশেষ (Special interest group)-এর চাপ, নিজস্ব মানবিক প্রবণতা তথা দুর্বলতা, সময়ের অভাব ও সংকল্পের দুর্বলতার কারণে শীর্ষ স্তরসমূহে অনেক অযোগ্য, ধান্দাবাজ তাঁবেদার, অসৎ লোক ঢুকে পড়ে। একবার জেঁকে বসলে পুরো সিস্টেমকে তারা কলুষিত করে ফেলে। আইনকানুন, রীতিনীতি, ব্যবহার পদ্ধতিতে সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন এনে এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করে যে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর ভাষায় 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অসম্ভব' হয়ে পড়ে। এমন উদাহরণ রয়েছে যে রাজা-বাদশাহর যুগে অদক্ষ, অযোগ্য, অসৎ সেনাপ্রধান তার পেশাগত দুর্বলতা ঢাকার প্রয়াসে সেনাপ্রশাসনে অপ্রাসঙ্গিক, বিকৃত, দক্ষতা সংহারক রীতি-পদ্ধতি প্রবর্তন করে রাজাকে বিভ্রান্ত করেছে, রাজ্য ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজা প্রথম দিকে তার দুরভিসন্ধিমূলক কূট চাল টের পাননি। যখন তিনি বুঝতে পেরেছেন, তত দিনে সব শেষ। সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। তখন আর কিছুই করার নেই।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার পর কোনো সরকার দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম থেকেই একটি পরিকল্পিত কর্মসূচির আওতায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মন্ত্রিসভা গঠন অর্থাৎ মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচন থেকে এ কাজটি শুরু হয়। এরপর সম্পন্ন করতে হয় সরকারের সচিবসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের জন্য লোক নির্বাচন। এ দুটো কাজ সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সময় নিয়ে, ধৈর্য সহকারে তথ্য-উপাত্ত, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে সম্পাদন করতে হবে। সচিব ও সংস্থাপ্রধানদের মুখ্য স্টাফ অফিসার অর্থাৎ যুগ্ম সচিব ও সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে নিয়োগদানের জন্য একজন সুযোগ্য সিনিয়র মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা সমীচীন হবে। এ কমিটিও ধৈর্য সহকারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, রেকর্ডপত্র নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে নিয়োগ প্রস্তাব তৈরি করবে, যা সরকারের প্রধান নির্বাহী অনুমোদন করবেন। মাঠপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ পূরণের জন্য যথাযোগ্য বাছাই কমিটি গঠন ও ন্যায়ানুগ বাছাই পদ্ধতি নির্ধারণ করা যেতে পারে। উপরোক্ত নীতি-পদ্ধতি অনুসরণ করে সৎ ও যোগ্য লোকসংবলিত প্রশাসনযন্ত্র নির্মাণ করা গেলে দুর্নীতি বহুলাংশে নিরসন করা সম্ভব হবে।
এ ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ না করার কারণে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও দুর্নীতির বিপক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক বিবেচনা, স্বজন তোষণ, তথ্য-উপাত্ত, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে চরম অনীহা, নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ, সীমিত বুদ্ধি-বিবেচনা ও জ্ঞানের ওপর অতিমাত্রায় আস্থা, স্বার্থান্বেষী 'কোটারি'র ওপর নির্ভরশীলতা ধীরে ধীরে সমগ্র প্রশাসন ও তৎ-প্রভাবিত সমাজব্যবস্থাকে এমন এক পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে যে এখন দুর্নীতি প্রশাসনযন্ত্র ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতি নিরসনে যাঁরা সামান্যতম কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারতেন, তাঁদের কাছ থেকেই দুর্নীতিবাজরা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে। ফলে বাস্তব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যক্তিক পর্যায়ে তাঁরাও মাঝেমধ্যে হতাশাব্যঞ্জক বাক্য উচ্চারণ করছেন। এতে আতঙ্ক বাড়ছে। মনে হচ্ছে, চারদিক অন্ধকার। আমরা কি সবাই ডুবতে বসেছি?
লেখক : সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন