
মিনার রশীদ
বিরাজনীতিকরণ একটি রাষ্ট্রের জন্য বিষস্বরূপ। সাপের বিষ যেমন স্বাদের অনুভূতি (Taste sensation) নষ্ট করে ফেলে, বিরাজনীতিকরণের বিষ তেমনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বাদ বা আকাঙ্ক্ষাটিকে ধ্বংস করে ফেলে!
একটি জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিকভাবে অসচেতন বা অতিমাত্রায় চেতনায়িত করে ফেললে সেই জাতিকে দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করানো সম্ভব! তখন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো স্বাধীনতার চেতনা দিয়েই সেই জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে জব্দ করা সম্ভব।
এ বিষটিকেই আমাদের কাছে শরবত হিসেবে পরিবেশন করা হয়েছে। ‘গুড বয়’ মানেই তাকে বলতে হবে, ‘আই-হেইট-পলিটিকস’!
ফলে সমাজের ভালো মানুষ বলে যাদের জানি, তারা কেউ পলিটিকসে আসে না। অর্থাৎ পরিবেশের দোহাই দিয়ে ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসে না। আবার ভালো মানুষ এই জগতে আসে না বলেই রাজনীতির পরিবেশ ভালো হয় না! এমন একটা দুষ্টচক্রে এদেশের রাজনীতি আটকে গেছে। আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, আটকে ফেলা হয়েছে!
এই দুষ্টচক্রটি কীভাবে ভাঙা যায়, তা নিয়ে দুই যুগ ধরে লেখালেখি করে আসছি! রাজনৈতিক দলগুলোর টপ নেতৃত্বসহ অনেক বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে নিজের ভাবনা শেয়ার করেছি! আজকে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি এই কলামে তুলে ধরব, যা নতুন গবেষকদের চিন্তা বা গবেষণার খোরাক হতে পারে।
বিরাজনীতিকরণের প্রথম ও প্রধান বিষয় ফলটি হলো, এর ফলে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণটি চলে যায় অরাজনৈতিক সংগঠন বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে! কারণ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম দিয়ে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে বিশেষ ক্ষমতায় ক্ষমতায়িত হয়ে এই অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা এদেশের রাজনীতি নিয়ে মনের মতো ফুটবল খেলেছে। এরাই এক-এগারো সৃষ্টি করে ষাটোর্ধ্ব এক নাবালিকাকে জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল। সেই নাবালিকা নগ্ন একটা দা হাতে নিয়ে দেশ নামক নৌকার পুরো যাত্রীকে টেরোরাইজ করে ফেলে। দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করা হয় প্রতিবেশী দেশটির হাতে। এমনকি দেশের কোন থানায় কে ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেনÑসেই নির্দেশও আসত সীমান্তের ওপার থেকে!
এই বিরাজনীতিকরণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। রাজনীতিতে তিনিই প্রথম মেরিটোক্রেসির চর্চা শুরু করেছিলেন। সেই মেরিটোক্রেসির সঙ্গে নৈতিকতা ও দেশপ্রেম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি তারেক রহমান বিবিসির সঙ্গে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সেটিও আমাদের অনেকটা আশাবাদী করে তুলছে!
তবে বর্তমানে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি ঘরানার প্রধান দুটি দল একে অন্যকে ধ্বংস করার যে মরণখেলায় নেমেছে, তা বিরাজনীতিকরণের হাতকেই আরো শক্তিশালী করছে! অনেক গালাগাল হজম করে আমরা বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, দুটি দলই বোধহয় তাদের মূল শত্রুকে ভুলে গেছে!
দুটি দলের প্রতিই তাই আহ্বান, আসুন সবাই পজিটিভ রাজনীতি করি। কার চেয়ে কে বেশি খারাপ, তা তুলে না ধরে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অধিকতর সুন্দর হিসেবে উপস্থাপন করি। কারণ রাজনীতির ময়দানটিকে নোংরা করে ফেললে বিরাজনীতিকরণ আরো উৎসাহিত হবে!
চেতনার হাত ধরে যে বিরাজনীতিকরণের জন্ম
কলামের শুরুতে যে শরবতের কথা উল্লেখ করেছি, তার মধ্যে অন্যতম মধুর শরবতটি পরিবেশন করেছিলেন কবি শামসুর রাহমান! স্বাধীনতার পরপরই তিনি উচ্চারণ করেন, ‘স্বাধীনতা তুমি/রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান/ স্বাধীনতা তুমি/কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো/মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা’ এই কবিতাটি শুনলে শরীরের লোম খাড়া হয়ে পড়ত!
একাত্তরের পর এ রকম একটা কবিতা যিনি লিখে ফেললেন, সেই কবি শামসুর রাহমান কিন্তু পুরো ৯ মাস দৈনিক পাকিস্তানের সম্পাদনা করে গেছেন! এরাই মূলত ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো ব্যঞ্জনায় একটি আজব প্রজন্ম সৃষ্টি করে গেছেন! এই প্রজন্ম স্বাধীনতাকে মাত্রাধিক লাভ (পছন্দ) করলেও রাজনীতিকে নিদারুণ হেইট করে। যেমন : গুরু তেমনি তার শিষ্যকুল! নিজেদের হিপোক্রেসিকে শৈল্পিক সুষমায় ঢেকে ফেলার চমৎকার কৌশল গুরু শিখিয়ে গেছেন। এই গুরু একবার ঢাকার এক সন্ত্রাসীকে ভোট দিয়ে এসে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বিবেকের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এলাম!
মানুষের মৌলিক মানবিক গুণাবলি উপেক্ষা করে এই গুরু-শিষ্যরা নৈতিকতার নতুন মানদণ্ড সেট করে। তাদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক ফ্যাশনে পঙ্গপালের মতো আকৃষ্ট হয় দেশের সাংস্কৃতিক ও বিনোদন জগতের এক বিরাট অংশ!
অন্যদিকে দেশের অন্য এক কবি মাঠের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! দৈনিক পাকিস্তানের সেই বিখ্যাত সম্পাদক যখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতির পদ পর্যন্ত পেয়ে যান, তখন বুদ্ধিজীবীদের তালিকা থেকে বেচারা কবি আল-মাহমুদের নামটিই কাঁটা পড়ে যায়। তার অপরাধ, তিনি জীবনের শেষদিকে একটু ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন!
কাজেই ৭১-এ কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা খুব বিবেচ্য নয়Ñবর্তমানে কে কোন সুরে কথা বলেন, সেটাই আসল কথা। ড. জাফর ইকবাল একাত্তর সালে টগবগে তরুণ ছিলেন, তারপরও যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে এক আত্মীয়ের বাসায় গর্তে অবস্থান নিয়েছিলেন। এই গর্তযোদ্ধার আপন বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ হাটে এই হাঁড়িটি ভেঙেছেন। চেতনার আরেক দিকপাল মুনতাসীর একাত্তর সালে কলেজে পড়তেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি! শাহরিয়ার কবির ৭১ সালে পাক-বাহিনীকে মুরগি সরবরাহ করতেন বলে নামটিই মুরগি কবির হয়ে পড়েছে। এদের সঙ্গে সুলতানা কামাল, খুশী কবির প্রমুখরা মিলে একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে দেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। অথচ এরা কেউ সরাসরি রাজনীতিতে নামেননি!
চেতনার আড়ালে এরা মূলত ইসলাম কোপানোর কাজটি করে গেছে। স্বাধীনতার পরপরই এরা পাকিস্তানি ভাবধারা সরানোর নামে জাতীয় বিভিন্ন প্রতীক বা সিম্বলকে আঘাত করতে থাকে।
এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে কোরআনের আয়াতটি সরিয়ে মঙ্গল প্রদীপ বসিয়ে দেন। সোহরাওয়ার্দী মুসলিম হল থেকে মুসলিম শব্দটি অপসারণ করে, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ইসলাম শব্দটি উধাও করে ফেলে! জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুসলিম শব্দটি ছেঁটে ফেলা হয়! প্রশাসনিক এসব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সাংস্কৃতিক জগতে জোর প্রচার চালানো হয়, আপনার ছেলেমেয়েদের নাম বাংলায় রাখুন!
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এই ডি-ইসলামাইজেশনের বিরুদ্ধে লাগাম টেনে ধরেছিলেন । তিনি সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম যোগ করেন এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস যোগ করেন। এ কারণেই শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতি এদের আক্রোশ এত তীব্র! এ কারণেই আনিস আলমগীররা জিয়ার কবর সরানোর ওকালতি করেছিলেন! কারণ জীবিত জিয়ার চেয়ে শহীদ জিয়া তাদের কাছে বেশি ভয়ের কারণ ছিল।
বড় দায়টি রাজনীতিবিদদেরই
রাজনীতি সম্পর্কে একজন কিশোর বা তরুণের প্রথম বিতৃষ্ণা জন্মে আশপাশের পলিটিশিয়ানদের দেখে। আমার জীবনেও এ রকম একটা ঘটনা প্রভাব রেখেছিল। রাজনীতির সার্বিক অধঃপতন তখন শুরু হয়ে গেছে। রাজনীতির পেটে ডুবুরি নামিয়ে দিলেও নীতি নামক কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। কেউ কারো সঙ্গে প্রতারণা করলে বলা হয়, ইশ আমার সঙ্গে পলিটিকস করা হচ্ছে! এমন সময় এলাকার এমপি সাব পিজি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এটা শুনেই সেকেন্ড ইন কমান্ড আশপাশের লোকদের মিষ্টি খাওয়ানো শুরু করেছেন। কোনো শত্রু না, নিজ দলের, নিজ আদর্শের একজন মৃত্যুশয্যায়Ñএকই মতের একই পথের ক্ষমতালিপ্সু এক শকুন অপেক্ষা করছে তার মৃত্যুর জন্য! এই ঘটনাটি শুনে রাজনীতির ওপর মনটি বিষিয়ে ওঠে!
অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আমাদের চাইল্ডহুড হিরো। স্কুলজীবনের শেষদিকে ভাবতাম, বড় হয়ে তার মতোই হব। কবি নজরুলের বাল্য স্মৃতিবিজড়িত নজরুল একাডেমি, দরিরামপুরে তখন ক্লাস টেনে পড়ি। আমরা বলতাম, নিউ টেন। তখন সিনিয়র ব্যাচ এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে । সেই ব্যাচে ছিলেন আমার এক চাচা, পরস্পরকে তুই-তোকারি করে সম্বোধন করি। ১৯৮১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আব্দুর রহমান স্যার (এ রকম আদর্শবাদী মানুষ জীবনে দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি) এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ওপর রচনা লিখে আনতে বলেন। আমার সেই চাচা আমার শরণাপন্ন হন। বলেন, আমাকে জিয়াউর রহমানের ওপর একটা রচনা লিখে দে।
আমি নির্দেশমতো তাই করলাম! আমার চাচার লেখা সেই রচনা দেখে আব্দুর রহমান স্যারের সন্দেহ হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সত্য কথা বলো তো দেখি, কে তোকে এই রচনাটি লিখে দিয়েছে? আমার সেই চাচা যে ভাতিজাকে কৃতিত্ব দিতে এক পায়ে খাড়া, নিজের নাক কেটে উৎসাহের সঙ্গে আমার নামটি বলে দিলেন! সেই রচনায় একটি লাইন ছিল, ‘রাজনীতি আমি বুঝি না, তাই রাজনীতি দিয়ে আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান বিচার করতে চাই না, আমি তাকে বিচার করতে চাই দেশ ও জাতির স্বার্থ দিয়ে!’ ঘটনাটি আমার সেই চাচা এতবার বলেছে যে, তা আর ভুলতে পারিনি।
সফেদ পাঞ্জাবি ও সাদা দাড়িতে উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের আব্দুর রহমান স্যারকে সত্যিই অপূর্ব লাগত। তার ব্যক্তিত্ব, গাম্ভীর্য, শুদ্ধ উচ্চারণÑসব ছিল অনুকরণীয়। ক্লাসে কখনোই অপ্রাসঙ্গিক আলাপ করতেন না। তার একেকটি হিতোপদেশ ছাত্রদের মনে গেঁথে যেত। কারণ উনি নিজে যা বলতেন, তা হুবহু পালন করতেন! তিনি ছিলেন দশম শ্রেণির ‘ক’ শাখার ক্লাস টিচার। মাসিক বেতন সংগ্রহ করার কাজটিকেও তিনি যেন একটা শিল্প বানিয়ে ফেলতেন। এগুলো ছাত্রদের জীবনেও প্রভাব ফেলত। এখনো চোখ বন্ধ করলে মুগ্ধ হয়ে দেখি আব্দুর রহমান স্যার বলছেন, ‘মুহাম্মদ করিমুল্লাহ, তুমি আমার কাছে এক পয়সা পাবে, দয়া করে নিয়ে যাও। আর আব্দুল্লাহ আল ফারুক, যাওয়ার আগে আমার পাঁচ পয়সা দিতে ভুলে যেও না!’ এভাবে হিসাবনিকাশ চুকানোর পর তার মুখে একটা পরিতৃপ্তির আভাস ফুটে উঠত! এসব স্যারের কারণেই বোধহয় সে সময় ত্রিশালের মতো মফস্বল এলাকা অনেক সোনার ছেলের জন্ম দিয়েছে! আমার দুই বছরের সিনিয়র এক ভাই যিনি বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে এবং টিঅ্যান্ডটির মতো জায়গায় চাকরি করেও দীর্ঘদিন টিউশনি অব্যাহত রেখেছিলেন!
আমাদের পাশাপাশি সময়ে এ রকম অনেকেই আছেন যারা আজ নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এবং এখনো বিশেষ ম্যুরাল ভেল্যু ধারণ করেন বলে শুনেছি।
আরেক স্যার ছিলেন, তাকে আমার ‘দরবেশ স্যার’ বলে ডাকতাম। আসলে এই নামটির আড়ালে তার আসল নামটি হারিয়ে গিয়েছিল। কারণ তিনি কিছু অদ্ভুত আচরণ করতেন। যেমন : সবজিওয়ালারা সাধারণত বেগুন বিক্রির সময় ‘ফাও’ হিসেবে আরো অতিরিক্ত কিছু ধরিয়ে দিতেন! এমতাবস্থায় তিনি দোকানদারকে বলতেন, ‘আমাকে একদম সঠিক পরিমাণটি দিন। অতিরিক্ত আমি নেব না।’ এটি শুধু সস্তা বেগুনের বেলাতেই করতেন না, জীবনের প্রতিটি লেনদেনে তা মেনে চলতেন।
এসব সোনার মানুষের চোখ একদিন একত্রে ভিজা দেখেছিÑ৩১ মে যেদিন সকালে গিয়ে সবাই জানলেন যে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হয়েছেন! শহীদ জিয়ার প্রতি আমার প্রিয় মানুষগুলোর এই ভালোবাসা দেখে সত্যি আপ্লুত হয়েছি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আমার কৈশোরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মানুষগুলো অত্যন্ত ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসায় কোনো খাদ ছিল না! প্রেসিডেন্টের শহীদ হওয়ার সংবাদ শুনে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন স্যার, আব্দুর রহমান স্যার অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। আমার এখনো স্মরণ আছে, আবুল হোসেন স্যার তখন স্কুলের আলোচনা সভায় বলেছিলেন, আমরা যুগের এক ওমরকে হারিয়েছি ।
বিরাজনীতিকরণের এই বিষ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে যেমন শহীদ জিয়ার মতো কিছু রাজনীতিবিদ দরকার, তেমনি আব্দুর রহমান স্যার, দরবেশ স্যারদের মতো জাতিকে সঠিক পথের দিশা দেখানোর জন্য কিছু শিক্ষক দরকার।
লিপ সার্ভিসে ক্লান্ত জাতি এখন কিছু কাজ দেখতে চায়।
লেখক: কলামিস্ট