Image description
 

বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি দীর্ঘদিনের। ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম এই দাবি এখনো কার্যকর হয়নি শিক্ষাঙ্গনে। গণঅভ্যুত্থানের যুগান্তকারী এই আকাঙ্ক্ষার ন্যায্যতা মেনে না নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি।

 

 

 

ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রদল নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে। এর প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। গত বছর ১৭ জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষাঙ্গনে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রচলিত দলীয় রাজনীতির পথ রুদ্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থী ও জনগণ। দাবি ওঠে, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সরকারকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনের মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে এই সিদ্ধান্ত।

 

শিক্ষাঙ্গনে দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়টি নিয়েও একটি মহল সৃষ্টি করছে বিতর্ক। ছাত্ররাজনীতি ও দলীয় লেজুড়বৃত্তির বিষয়টি গুলিয়ে ফেলছেন তারা। ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই থাকবে। তবে সেই রাজনীতি হবে শিক্ষাঙ্গনভিত্তিক ছাত্র সংসদনির্ভর। যেখানে প্রাধান্য পাবে শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ। শিক্ষাসম্পৃক্ত বিষয় ছাড়াও রাষ্ট্রীয় এবং জনস্বার্থে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দেবেন, সোচ্চার হবেন, নামবেন রাজপথে। যেমনটি করেছেন তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। যে আন্দোলন-অভ্যুত্থান বাংলাদেশকে দিয়েছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শতভাগ রাজনীতি ছিল। কিন্তু দলীয় লেজুড়বৃত্তির কোনো বাতাবরণ ছিল না। দলীয় লেজুড়বৃত্তিমুক্ত শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভূমিকা পালন করবেন। এ জন্য প্রয়োজন হবে না কোনো দল, পরিবার বা ব্যক্তির আনুকূল্য। এ বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জরুরি।

 

গণঅভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদমুক্ত বৈষম্যহীন, মানবিক, কল্যাণকর, আইনের শাসনের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এই চেতনার আলোকে অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারীদের সরাসরি দলীয় রাজনীতির পথ রুদ্ধ করতে যাচ্ছে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন তার ভবিষ্যৎ। তাই স্বভাবতই শিক্ষাঙ্গনে প্রয়োজন শিক্ষার সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে অতীতে বিরাজ করেছে চরম নৈরাজ্য ও অস্থিরতা। অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস ক্রমাগত গ্রাস করেছে শিক্ষাঙ্গনগুলো। ছাত্ররাজনীতির নামে সর্বত্র চলছে দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি। শিক্ষার্থীরা পরিণত হয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলোর লাঠিয়াল বাহিনীতে। রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে ব্যক্তি ও দলীয় ক্যাডার হিসেবে ব্যবহৃত হন তারা। কথায় কথায় সংঘাত-সংঘর্ষে রক্তাক্ত হন। লাশ পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ৫৩ বছরে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের কারণে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় মুহসীন হলে ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে । এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে একসঙ্গে প্রাণ হারান সাত শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩টি বড় ধরনের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ শিক্ষার্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায়ই ঘটেছে সহিংস ঘটনা। দলীয় ক্যাডারদের আত্মঘাতী সংঘাত ও খুনোখুনিই শুধু নয়, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ললাটে লেপন করেছে কলঙ্ক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক নেতা শতবার ছাত্রী ধর্ষণ করে ভূষিত হয় ‘সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক’ খেতাবে।

 

বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার পেছনের মূল প্রেরণা জুগিয়েছে তৎকালীন ছাত্রসমাজ। আজকের মতো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি নয়; বরং ছাত্রসংগঠনগুলোই তখন নিয়ন্ত্রণ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা পালন করেছে দুঃসাহসী অগ্রণী ভূমিকা।

 

ব্রিটিশ ভারতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির গোড়াপত্তন ঘটে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে। ১৯৩২ সালে গঠিত হয় নির্দলীয় ‘অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালে ছাত্ররা ‘ইস্ট বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্ট লীগ’ গঠন করেন। নেতৃত্ব দেন ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে। পরে ১৯৬৯-এর জানুয়ারিতে এসে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠন করে আইয়ুব খানের পতন ঘটায় ছাত্রসমাজ।

 

ছাত্রসংগ্রাম পরিষদই মূলত ৭১-এ পুরো জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের দিকে। অথচ স্বাধীনতার পরপরই ছাত্ররাজনীতিতে দেখা দেয় মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় একশ্রেণির ছাত্রনেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের শিক্ষাঙ্গনে। অনিবার্য কারণে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের লড়াকু ছাত্রনেতারা।

 

১৯৭৩-এর ৩ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের পর বন্দুকের নলের মুখে ঘটে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে শুরু হয় হত্যার রাজনীতি। ৭৫-এর পটপরিবর্তনের পর ছাত্ররাজনীতির ধারা পাল্টে যায় অনেকটা। আশির দশকের শেষদিকে এসে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটাতে আবার ঐক্যবদ্ধ হয় দেশের ছাত্রসমাজ।

 

একানব্বই থেকে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর হলেও ছাত্ররাজনীতিতে বিস্তার ঘটেছে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির। ছাত্রনেতৃত্বের মধ্যে রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সব ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন তারা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণির শিক্ষকও দলবাজি করে বিষিয়ে তুলেছেন শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। লাল, নীল ও গোলাপি বিভিন্ন রঙের সংগঠন করে দলীয় লেজুড়বৃত্তি করছেন তারা। শিক্ষাদানের চেয়ে ছাত্রছাত্রীদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার এবং আন্দোলনের মন্ত্রণা দিয়ে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্থির করে তুলতে তাদের কসরতের জুড়ি নেই।

 

দলীয় রাজনীতি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশই শুধু অসুস্থ করে তুলছে না, বিনষ্ট করছে ছাত্র-শিক্ষক, সহপাঠী ও সতীর্থদের পারস্পরিক সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য। কথায় কথায় সংঘর্ষের কারণে সৃষ্টি হয় সেশনজটের। ফলে শিক্ষাজীবন হয় দীর্ঘায়িত। ছাত্ররা হারায় তাদের চাকরির বয়স। অভিভাবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন আর্থিকভাবে।

 

দলীয় লেজুড়বৃত্তিকারীদের শিক্ষাঙ্গনে প্রভাব, প্রতিপত্তি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে দেখে হতাশাগ্রস্ত অনেক সাধারণ ছাত্রছাত্রী ঝুঁকে পড়ে রাজনীতির দিকে। অতীতে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীরা দলীয় সরকারের আনুকূল্যে চাকরি লাভের সুযোগ পাওয়ায় বঞ্চিত হন মেধাবীরা।

 

দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কর্মজীবনেও থেকে যায় দলপ্রীতি। এতে প্রশাসন হারায় নিরপেক্ষতা। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে তাই স্বভাবতই এর বিরূপ প্রভাব পড়ে প্রশাসনে।

 

ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে ক্যাম্পাসের বাইরে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছাত্রদের ব্যক্তিগত সম্পৃক্তিতেও দোষের কিছু নেই। ছাত্ররা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা, নিজেদের কল্যাণ এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ছাত্র সংসদের মাধ্যমে কাজ করবে।

 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা এভাবেই নেতৃত্ব দেন। জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের কাছে পেশ করেন দাবি-দাওয়া। প্রয়োজনে আন্দোলনে যান। কিন্তু আমাদের দেশে ছাত্র সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণের দিক না দেখে, দুর্বৃত্তায়িত দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি করছে ছাত্রসমাজের বড় একটি অংশ। রাজনীতির কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত ও নির্ধারিত পরীক্ষা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দরিদ্র অভিভাবক।

 

সিংহভাগ শিক্ষার্থী চান শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। রাজনীতির সঙ্গেও নেই তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা। তারপরও মুষ্টিমেয় দলবাজ শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জিম্মি। অছাত্র এবং সন্তানের জনক-জননী এমন অনেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলীয় ছাত্রসংগঠনগুলোর। ক্যাম্পাসে এবং বাইরে টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণসহ নানা অপকর্ম করে সাধারণ ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তারা করছে কলঙ্কিত। ছাত্ররাজনীতির নামে অস্ত্রধারী দলীয় ক্যাডাররা হলে বিনাপয়সায় থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। হলে তারা গণরুমের নামে চালু করেছে নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা। অনেক ছাত্রনেতার রয়েছে গাড়ি-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণির শিক্ষক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন দলবাজ শিক্ষার্থীদের। আলোর পথ থেকে সরিয়ে ছাত্রদের যারা অন্ধকার গলিতে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদের সন্তানরা কিন্তু ঠিকই পড়াশোনা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি চর্চা বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারলে যাতে প্রাণ ফিরে পাবেন প্রকৃত শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা পারবেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে। জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণকারী দলগুলো শিক্ষাঙ্গনে যাতে কোনো ছাত্র অঙ্গসংগঠন না রাখতে পারে, সে জন্য শর্ত আরোপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ সালের আগস্টে সহিংস ঘটনার পর গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন জোরালো সুপারিশ করে শিক্ষাঙ্গনে সরাসরি ছাত্র-শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি বন্ধের। ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ শিক্ষকদের এবং ১৯৭৬ সালের রাজনৈতিক দলের বিধি ছাত্রদের দলীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে যে সুযোগ সৃষ্টি করে তা বিলোপের পরামর্শও দেওয়া হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। দলীয় লেজুড়বৃত্তিকারীদের শিক্ষাঙ্গনে প্রভাব, প্রতিপত্তি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে দেখে হতাশাগ্রস্ত অনেক সাধারণ ছাত্রছাত্রী ঝুঁকে পড়ছেন রাজনীতির দিকে।

 

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত করতে ৭৬-এর রাজনৈতিক দলের বিধান এবং ৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশটি বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে অধ্যাদেশ জারি করা। ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র এবং হলসংসদগুলোয় নিয়মিত দলনিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে মেধাবী, সৎ ও যোগ্য ছাত্র প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করা। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের জন্য এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই গণতন্ত্র। শিক্ষার্থীরা যদি দেশের ভবিষ্যৎ এবং শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড, তাহলে একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী ভবিষ্যতের জন্য জাতিকে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড় করাতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির সহিংস ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই।

ডা. ওয়াজেদ খান

লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ,